চাঁদপুরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান ওচমান গণি পাটওয়ারী

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে জেলার উন্নয়নের ধারাবহিকতা বজায় রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওচমান গণি পাটওয়ারী।

তিনি এক মতপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের বলছেন, তিনি গত ৫ বছর যে উন্নয়ন কাজ করেছেন আবারও নির্বাচিত হয়ে তা অব্যাহত রাখতে চান তিনি। অপরদিকে জাকির হোসাইন প্রধানিয়া নির্বাচিত হলে সবাইকে নিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ করার আশা প্রকাশ করে।

চাঁদপুর জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে ওচমান গণি পাটওয়ারী তার বিগত ৫ বছর মেয়াদকালে জেলা পরিষদের আর্থিক ব্যয়ের নিয়ম অনুসরণ করে প্রায় ৫ হাজারের অধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। যদিও উন্নয়ন কাজগুলো ছোট ছোট, কিন্তু খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ, মানুষের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা ইত্যাদি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে চাঁদপুর জেলার প্রবেশ মুখে সড়কে বঙ্গবন্ধু গেট নির্মাণ করেছেন যেটি করায় তিনি জেলাবাসীর কাছে প্রশংসার দাবিদার হয়েছেন। এটিই চাঁদপুর জেলায় বঙ্গবন্ধুর নামে প্রথম কোন গেট করার দৃষ্টান্ত রেখেছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ওচমান গণি পাটওয়ারী বলেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমার প্রতীক মোবাইল ফোন। তিনি বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে এ জেলাবাসীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।

বিগত নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। আমি তার সম্মান রেখেছি এবং প্রত্যেকটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করেছি। এবার নির্বাচন উন্মুক্ত। যোগ্য ব্যাক্তিকে অবশ্যই ভোটাররা নির্বাচিত করবেন। তবে আমি যেহেতু জনপ্রতিনিধিদের হয়ে জনগণের কাজ করেছি, সেটার মূল্যায়ন অবশ্যই হবে।

সম্মানিত ভোটার ভাই-বোনদের উদ্দেশে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বিনীতভাবে প্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের মূল্যবান ভোটের সর্বোচ্চ সম্মান প্রর্র্দশন করবো। আমি আপনাদের এ আমানত সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে তার প্রমাণ করার শতভাগ চেষ্টা আমার অব্যাহত থাকবে।

এদিকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসাইন প্রধানিয়াও ৮ উপজেলার ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং মতবিনিময় করছেন। তিনি বলেছেন, আমি যদিও আপনাদের কাছে নতুন কিন্তু আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। আমি আপনাদের সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাঁশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে কাজ করার সুযোগ করে দিবেন।

উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুইজন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫জন এবং সংরিক্ষত সাধারণ সদস্য পদে ১২জন। জেলার ৮ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২শ’ ৭৬ জন।

এ বছর ভোটাদের সাথে আলাপ চারিতায় তারা জানান, আমরা চাঁদপুর জেলাবাসীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে তাদের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। তাই আমরা যাকে নির্বাচিত করবো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসাবো তিনি নিশ্চয় একজন যোগ্য ব্যক্তি কিনা সেটা আমাদের মাথায় রেখে ভোট দেব,তাতে কোন প্রকার ভুল করবো না বা ভুল করলে চলবে না।

 

একই রকম খবর