বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরে ইলিশ প্রজননের সময় মা’ইলিশ নিধনের অপরাধে ৫৫ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড বাহিনী। এদের মধ্যে ৩৪ জেলেকে ১বছর হতে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধন করায় পৃথক অভিযানে ৫৫ জেলে আটক করা হয়। আটক জেলেদের মধ্যে ৩৪ জেলেকে পৃথক ভাবে ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে জেলা টাস্কফোর্সের নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বাকী ২১ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে নৌ পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও নৌ থানার ওসি কামরুজ্জামান ।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. মেশকাতুল ইলসাম জানান, রোববার দুপুর থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০ জন অসাধু জেলে আটক এবং এক লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক জেলেদের প্রত্যেককে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সহযোগিতায় অংশ নেয়। অভিযানে কচুয়া উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্ত মো. জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে রোববাব(২৩ অক্টোবর) রোববাব দুপুর থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ ধরা অবস্থায় ৩৫ জেলেকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ দিন করে এবং ১জনকে এক বছর কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার। অন্য বাকী ২১ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযানের সময় জহিরুল ইসলাম (১০) নামে একজন শিশু জেলে ছিল। তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সতর্ক করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।
নৌ-থানার ওসি আরো জানান, এছাড়াও আটক জেলেদের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৬শ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় ৭ টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের তৈরী জেলে নৌকার মধ্যে ৩ টি নৌকা পানিতে ডুবিয়ে অকার্যকর করা হয়েছে। আর বাকী ৩ টি নৌকা নৌ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
জব্দকৃত ১৭৮ কেজি ৫শ’ গ্রাম মা’ ইলিশ মাছ এর মধ্যে ১২৫ কেজি ৫শ’ গ্রাম ইলিশ মাছ হিমাগারে সংরক্ষন করা হয়। অবশিষ্ট ৫৩ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানার এতিমদের মাঝে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।।