জননেত্রী আবারও আমাকে সদরের সভাপতি পদে মুল্যায়ন করবেন

চাঁদপুর খবর রির্পোট: আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পনরায় প্রার্থী হচ্ছেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।

জানা গেছে,নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের এই সভাপতির ক্লিন ইমেজ, সততা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সর্বমহলে প্রশংসিত। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি সর্বস্তরের জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছেন। দলের দু:সময়-সুসময় সর্বদা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে তার বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

তিনি জানান,চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগসহ তৃনমূল নেতাকমীদের অনুরোধে আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি । বিগত বছরগুলোতে জনগন ও দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি । দলকে ইউনিয়ন ও ওয়াড পযায়ে দলকে শক্তিশালী করেছি । বিগত দিনে প্রতিটি জাতয়ি নিবাচনে মাঠ পযায়ে তৃনমূলের সমথন নিয়ে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক মনোনীত প্রার্থীকে সংসদ সদস্য নিবাচিত করছি । তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিগত দিনের আমার দলীয় কার্যক্রমের মূল্যায়ন করে আবারো আমাকে এই পদে দায়িত্ব প্রদান করবেন।

নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান ঐতিহ্যবাহী জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান।

পারিবারিকভাবেই রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধির রক্ত বহন করে চলেছেন এই জনপ্রিয় জননেতা।
তার দাদা মরহুম মো. ছিদ্দিক আলী দেওয়ান ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে ও পাকিস্তান আমলে টানা ৩০ বছর চাঁদপুর সদরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে তিনি সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না।

নাজিম দেওয়ানের পিতা মরহুম আ. রহমান দেওয়ান মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চাঁদপুর সদরের দক্ষিণাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংঠগক ও সংগ্রাম কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একাধারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ওই পদে থাকা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান নিজেও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। একাত্তরের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থেকে শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পিতার সাথে থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন সে সময়ের এই ছাত্রলীগকর্মী। ১৯৭৪ সালে নাজিম দেওয়ানের বাবা মারা গেলে ছাত্রাবস্থায় তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পচাত্তর পরবর্তী দু:সময়ে তিনি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাহসিকতার সাথে সক্রিয় ছিলেন।

১৯৮৪ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। এরপর ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিতন হন তিনি। ২০০৩ সালের সর্বশেষ সম্মেলনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সদরের কিংবদন্তীতুল্য এই রাজনৈতিক নেতা। এখনো তিনি এই পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতিপূর্বে বার বার সম্মেলনের উদ্যোগ নিলেও এতবছর নানা কারণে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি সদর উপজলায়।

এছাড়া চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও বিগত টানা ৩টি কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজিম দেওয়ান।

নাজিম দেওয়ান একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিও। দলের চরম ক্রান্তিকালেও তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ এবং ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। একজন সদালাপী, সজ্জন ও ব্যক্তিত্ববান জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।

নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি, হোসেনপুর সিনিয়র মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি, হরিনা চালিতাতলী এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউটের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে আসছেন তিনি।

একই রকম খবর