স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদপুর শহরে আলোচিত হত্যাকা- গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির খুনের ঘটনায় আটক স্বামী অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে গতকাল সোমবার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিল। তার মেডিকেল চেকআপ করানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে। এজন্যই এই মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ৪ জুন সোমবার শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদের বিপরীতে নিজ বাসায় অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি নির্মমভাবে খুন হন। খুনের ঘটনায় পুলিশ ফেন্সির স্বামী অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। পর দিন মঙ্গলবার নিহত ফেন্সির ভাই ফোরকান্ উদ্দিন বোনের খুনের ঘটনায় অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগম ৪ জনের নাম প্রকাশ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই থেকে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম চাঁদপুর জেলহাজতে রয়েছেন। গত রবিবার অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম কারা অভ্যন্তরে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন কারা চিকিৎসক ও চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসিবুল ইসলাম তার প্রাথমিক চিকিৎসা করেন এবং ব্যবস্থা পত্র প্রদান করেন। গতকাল তাকে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশী কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যান যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল অভ্যন্তরে মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এমনকি ডিএসবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গনে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। এর পূর্ব থেকে পুলিশ সদস্যরা তার চিকিৎসার বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে প্রথমেই ডাঃ আসিবুল ইসলামের কাছে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ইসিজি করানোর জন্য সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তাকে কিছু সময় রাখা হয়। ্ইসিজি শেষ করে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে হাসপাতালের ২য় তলার ডাঃ মনিরুল ইসলামের চেম্বারে পাঠানো হয়। ডাঃ মনিরুল ইসলাম চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় পুনরায় তাকে ১১১নং কক্ষের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিবুল ইসলামের কাছে নিয়ে আসা হয়। দুপুর প্রায় ১টা পর্যন্ত এখানেই তাকে মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। এই পরীক্ষায় নিরীক্ষায় যুক্ত হন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম। দুপুর ১টায় অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাঃ আসিবুল ইসলাম জানান, অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম একজন ভিআইপি ব্যক্তি। তিনি কারাগারে রবিবার দুপুরে কিছুটা অসুস্থবোধ করেন। তখন সেখানে গিয়ে আমি তার প্রেসার মেপে দেখতে পাই প্রেসারে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারাগারের বাইরে থাকা অবস্থায় তিনি প্রেসারের ঔষধ সেবন করতেন। কারা অভ্যন্তরে ঔষধ সেবন করতে না পেরে কিছুটা অসুস্থবোধ করেন। এজন্য আজকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত বুধবার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ মঙ্গলবার অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে ২ দিনের রিমান্ডে আনা হবে।