চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : আসন্ন চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ফরম জমা দিয়েছেন, সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী মোঃ ইউসুফ গাজী।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এ প্রার্থীর সাফল্য সবচেয়ে বেশি। তিনি ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকারের দুইটি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তিনি ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর সদর- হাইমচর আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। তিনি চাঁদপুর পৌরসভার সফল চেয়ারম্যান ছিলেন।
ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদেরও চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোপূর্বে তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তাঁর নেতৃত্বে যুবলীগ হয়েছিল চাঁদপুর জেলায় সুসংগঠিত। একজন অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে যার খ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে একজন দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে চিনেন ও জানেন। তাই তো তাঁকে ২০০১ সালে চাঁদপুর-৪ সদর আসন থেকে নৌকা মার্কার দলীয় মনোনয়ন দেন।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী ইউসুফ গাজী। রাজনৈতিক, একাধিকবার সফল জনপ্রতিনিধি, নেতৃত্ব , দেশ মাতৃকায় ইতিহাস, ঐতিহ্য ধারণ ও লালন,তুখোড়বক্তা, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সব দিক মিলিয়ে তিনি এগিয়ে আছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে দৈনিক চাঁদপুর খবর এর পক্ষ থেকে কথা হয় মোঃ ইউসুফ গাজীর সাথে ।
নিম্নে তাঁর দেয়া সাক্ষাতকার তুলে ধরা হলো।
চাঁদপুর খবর ঃ আমরা জানি আপনি দলীয় মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি কতটুকু আশাবাদী ?
ইউসুফ গাজী ঃ আমি শতভাগ আশাবাদী দল আমাকে মূল্যায়ণ করবে। কারণ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সবার থেকে আমার উর্দ্ধে। আমি চাঁদপুর পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছি সদর-হাইমচর আসন থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ণ করেছেন ।
এবারও তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে মূল্যায়ণ করবেন।
ইউসুফ গাজী ঃ আপনি দলীয় মনোনয়ন পেতে এত আশাবাদ কেনো ? দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের আগাম কোন প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন ?
চাঁদপুর খবর ঃ দলের প্রতি আমার ত্যাগ আছে। শ্রম আছে, ঘাম আছে। সততার সাথে রাজনীতি করছি। জনপ্রতিনিধিত্ব করেছি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আছে আমার প্রতি । এটাই বড় শক্তি। তারপরও বলবো দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণীদের সাথে কথা হয়েছে আশা দিয়েছেন। বাকীটা আল্লাহর মেহেরবানী।
চাঁদপুর খবর ঃ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন আরো ৬ জন চেয়েছেন । তাদের বিষয়ে আপানার বক্তব্য কি ?
ইউসুফ গাজী ঃ দলীয় মনোনয়ন সবাই চাই তে পারে। সবার অধিকার আছে। তবে দল কাকে দিবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে আমি খুবই আশাবাদী দলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে।
চাঁদপুর খবর ঃ দলীয় মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করবেন ?
ইউসূফ গাজী ঃ দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কখনও যাইনি এবং যাবোও না। দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয় তা হলে নির্বাচন করবো না।
চাঁদপুর খবর ঃ শোনা যাচ্ছে, আপনি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির মনোনীত প্রার্থী । এটা কতটুকু সঠিক?
ইউসুফ গাজী ঃ আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সবাই জানে। এ ক্ষেত্রে যিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিসহ সবক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে তার পক্ষেই তো থাকবে দলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ। সে ক্ষেত্রে দলের কেন্দ্রিয় নেতা হিসেবে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমাকে তাঁর দলের একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করতেই পারেন। নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার মাননীয় পাঁচ সংসদ সদস্যই আমাকে সহযোগিতা করবে। আমি তাদের সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চাই।
চাঁদপুর খবর ঃ দল আপনাকে মনোনয়ন দিলে আপনি জয়ের বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী?
ইউসুফ গাজী ঃ দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তা হলে ইনশাল্লাহ আমি একশতভাগ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
চাঁদপুর খবর ঃ যারা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়েছেন কিন্তু দল তাদের মনোনয়ন দেয়নি কিন্তু তাদের কেউ যদি নির্বাচন করে সে প্রার্থীর বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
ইউসুফ গাজী ঃ এ ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হলো প্রথমে, দল মনোনয়ন না দিলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া অন্তত কোন প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতার বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আর দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে সাংগঠনিকভাবে দল তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতা কখনও দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবে না।
চাঁদপুর খবর ঃ চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রসহ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শুনছেন তাদের কেমন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন?
ইউসুফ গাজী ঃ সকল প্রার্থীকেই প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থী হিসেবে মনে করি। কাউকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। খেলার মাঠে সকলেই খেলোয়ার। হোক সে ভালো ও খারাপ খেলোয়ার। সুযোগ পেলে গোল করবেই। অতএব আমি সবাইকে উপযুক্ত প্রার্থী মনে করি।
চাঁদপুর খবর ঃ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আপনার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে প্রথমে আপনি কোন কাজটি করবেন?
ইউসুফ গাজী ঃ আল্লাহর মেহের বাণীতে আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজটি হবে জেলা পরিষদকে দুর্নীতিমুক্ত করা। স্থানীয় সরকারের জেলার সর্বোচ্চ এ প্রতিষ্ঠানটিকে আমার সময়ে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত রাখবো। এটা আমার নির্বাচনী কমিটমেন্ট।
চাঁদপুর খবর ঃ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ইউসূফ গাজী ঃ চাঁদপুর খবরকেও ধন্যবাদ।