কামরুল ইসলাম : আল-আমিন সোসাইটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফারকে অপসারনের দাবী ও দুই শিক্ষককে অন্যত্র বদলীর করার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ( ১৪ মে ) আল আমিন একাডেমী ছাত্রী শাখা আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এসময় বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। এদিকে আল-আমিন একাডেমী ফের উত্তপ্তের সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার শামছুনাহার পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সোমবার দুপুরে শহরের পালপাড়া এলাকার প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আল-আমিন একাডেমীর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কোন কারণ ছাড়াই কয়েকদিন জনপ্রিয় দুই শিক্ষক (তাদের ভাষায়) ইংরেজির বিভাগের ফারুকুল ইসলাম ও গণিতের বিভাগের নিয়াজুল ইসলামকে ছাড়া অন্যত্র বদলী করে।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনৈতিক কাজে সমর্থন না দেওয়ার কারণেই এই দুই শিক্ষককে অন্য শাখায় বদলি করা হয়। এই ঘটনার জন্য তারা একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফারকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবী করে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, ছাত্র শাখার একদল শিক্ষার্থী ছাত্রী শাখায় ঢুকে বিক্ষোভ করতে বাধ্য করে ছাত্রীদের। এসময় তারা কলেজের বেশকিছু জিনিসপত্র ভাংচুর করে তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তারা সটকে পড়ে।
অধ্যক্ষ পদে চলতি দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক মকবুল হোসেন জানান, ওই দুই শিক্ষককে ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভাংচুরের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সমাধানের জন্য সব পক্ষকে নিয়ে দ্রুত বৈঠক করা হবে এবং অচিরেই তা সমাধান করা হবে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। পুলিশ সুপার জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে।
উল্লেখ্য, আল আমিন সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান আল-আমিন একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সাথে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। এর সাথে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ায় পর পর দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।