এ প্রথম পিতাকে ছাড়া ঈদ উদযাপন

………………………………………………………….. সোহেল রুশদী ……………………………………………..

এ প্রথম বারের মত আমার পিতাকে ছাড়াই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত করেছি। খুবই মিছ করছি আজ ঈদের দিনে পিতাকে। ভাবিনী এভাবেই জীবন কাটাতে হবে। এবারই ঈদের নামাজে পিতাকে ছাড়াই যেতে হবে। পিতার হাতে ঈদের বকসিস (সেলামী) দিতে পারিনী। ঈদের উপহারও দিতে পারিনি। এখন প্রতিটি মহুতে ভাবছি।

প্রতিটি ঈদে পিতা আমার জন্য অপেক্ষা করতো। প্রতিক্ষায় থাকতেন কখন আমি বাড়ীতে আসবো। কিন্তু সে অপেক্ষার পালা এবার শেষ হলো। সে কষ্ট নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে। পিতা নেই এ যে কত বড় শুন্যতা আমার ও আমাদের পরিবারের মাঝে বিরাজ করছে। কিভাবে এ শুন্যতা প্রকাশ করবো তার কোন ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। যাদের পিতা নেই শুধু তারাই বলতে পারবে কিংবা বুঝতে পারবে পিতা হারানো বেদনা।

প্রবাদে আছে আমরা “দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেই না” যখন পিতা জীবিত ছিলো, তখন বুঝতে পারিনি অনুভুতি। এখন শুধু পিতার স্মৃতি নিয়ে ভাবছি। আমার পিতা ছিলো আমার পৃথিবী। আমার সকল অর্জনের প্রেরণা ছিলো আমার পিতা। আজ আমার পিতা দুনিয়াতে বেঁচে নেই, খুবই কস্ট পাচ্ছি। সবাই আমার পিতার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যাতে আমার পিতাকে বেহেস্ত নসীব করে।

উল্লেখ্য গত ৪ জুলাই ২০১৮ সালে আমার পিতা ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাহের হোসেন রুশদী (৭৫ বয়স) ঢাকা শমরিতা (অব:) হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না….রাজিউন)।

লেখক পরিচিতি : প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক চাঁদপুর খবর। প্রেসক্লাব রোড চাঁদপুর।

একই রকম খবর