চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : গত প্রায় দুই যুগ ধরে চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনীতিক। একজন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। অপরজন বিএনপি নেতা সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন। জাতীয় রাজনীতিতে যাই হোক, এলাকার রাজনীতিকে ব্যাপক আলোচিত তাঁরা।
দুই রাজনীতিকের দল দুটি যেমন চির প্রতিদ্বন্দ্বী, ভোটের মাঠেও একইরকম প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন ধরে মুখোমুখি দেখা যায়নি তাঁদেরকে। বহু দিন পর চলতি পথে হঠাৎ দেখা হলো তাঁদের। চকিত চমকে এগিয়ে এলেন পরস্পরের কাছে। কুশল বিনিময় করলেন। আবেগ প্রবণতায় ডুবে থাকলেন কিছুক্ষণ।
দুই রাজনীতিকে এই হঠাৎ সাক্ষাতের বিষয়টি মানুষের ভেতরও সৃষ্টি করেছে আগ্রহ। কেননা, কেবল স্থানীয় রাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী পরিচয়ের বাইরেও ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য। অপরদিকে, এহসানুল হক মিলনও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার মারা গেছেন মিলনের শ্বশুর। তাঁর মৃতদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের কচুয়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন মিলন। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটি ফিলিং স্টেশনে যাত্রাবিরতি হয়। এ সময় আচমকা সেখানে দেখা মেলে ড. খানের সঙ্গে। তিনিও এলাকায় যাচ্ছিলেন কর্মসূচিতে যোগ দিতে।
হঠাৎ এমন দেখায় দুজন বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কুশল বিনিময় করেন। কথা বলেন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে। একসঙ্গে হালকা খাবারও গ্রহণ করেন তাঁরা। মিলনের শ্বশুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলনের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার বলেন, সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর নেতা মিলনের শ্বশুর মো. ইউনুস খান (৮১)। ইউনুস খান মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাজমুন নাহার বেবীর বাবা। একজন সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর দক্ষিণ পীরের বাগে মরহুমের প্রথম জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে কচুয়ায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পথে দেখা হয় ড. মহীউদ্দীন খানের সঙ্গে। এ সময় মিলনের সহধর্মিনী নাজমুন নাহার বেবীও উপস্থিত ছিলেন।