ইসমাইল হোসেন বিপ্লব,কচুয়া :কচুয়ায় এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করাতে অর্থের বিনিময়ে পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সরেজমিনে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়,বিদ্যালয়ের ছুঁটির পর একটি ছোট কক্ষে ৪৮জন শিক্ষার্থী গাধাগাধি করে পরীক্ষা দিচ্ছে এবং ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একাই হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য কোন সহকারী শিক্ষক কিংবা কোন অফিস সহকারীকে বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষায় ১১৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৫৮জন কৃতকার্য এবং ৫৭ জন অকৃতকার্য হয়। অকৃতকার্য ৫৭জন পরীক্ষার্থীকে ফর্ম ফিলআপ করানোর উদ্দেশ্যে পুনঃ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরও বিধি বর্হিভূতভাবে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, শিক্ষকরা শ্রেণি কক্ষে সঠিকভাবে পাঠদান না করায় এসকল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।ফলে কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে মেধাশূণ্য হয়ে পরেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান জানান, যেসকল শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে তাদের অভিভাবকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দ্বিতীয় বার পরীক্ষা গ্রহণ করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, আমরা গনিত, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে প্রাইভেট না পড়ায় শিক্ষকরা আমাদের ফেল করিয়েছে। যারা প্রাইভেট পড়েছে তাদেরকে আগের থেকেই প্রশ্ন কমন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, ফেল করা পরীক্ষার্থীদের পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি এইমাত্র অবগত হয়েছি। ঘটনাটি সত্য হলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন,অভিভাবকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পূনরায় মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে এতে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে আমার মনে হয়নি।