কচুয়ায় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে বাণিজ্যর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ কচুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। কোনো ধরণের সম্মেলন ছাড়াই টাকার বিনিময়ে নেতারা ইউনিয়ন কমিটি গঠন করছেন বলে দাবি করেছেন পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা।

পদপ্রত্যাশী নেতারা অভিযোগ করেন, স¤প্রতি টাকার বিনিময়ে উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলন না করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ইঞ্জি. জহিরুল ইসলামে সভাপতি এবং মো. আল আমিন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

কাদলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা বলেন, অনেক প্রকৃত ছাত্র সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদপ্রার্থী ছিল। কিন্তু তাদেরকে না রেখে টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে।

কাদলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রত্যাশী মো. রোকন খান বলেন, আমি গুলবাহার আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন কমিটির ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলাম, বর্তমান যাকে ছাত্রলীগের সভাপতি টাকার বিনিময় বানিয়েছে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী’রা জহির নামে কাউকে ছিনেনা, সে কোথায় থেকে এসেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে টাকার বিনিময়ে তাকে সভাপতি দেওয়া হয়েছে। আমি এই কমিটির তিব্র নিন্দা জানায়।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. রাসেল প্রধান বলেন, কমিটিতে পদ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছিল। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি। টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের নেতা বানানো হয়েছে। টাকা চাওয়ার প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে।

কাদলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সোহরাব হোসপন বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে উপজেলা নেতারা আমাকে কিছুই জানায়নি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হয়েছে। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখান করেছি।

একই রকম খবর