কচুয়া প্রতিনিধি ॥ কচুয়া উপজেলার খিলা গ্রামে এক প্রেমিক যুগল উধাও কেন্দ্র করে হামলা,মারধর ও ভাংচুর হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
গত (১০ মে) বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামের অধিবাসী ও মনোহরপুর ফাজিল মাদ্রাসার আরবী শিক্ষক ও উপজেলা ওলামা লীগের সাধারন সম্পাদক মাও.সাইদুর রহমানের মাদ্রাসায় ও বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
মাওলানা সাইদুর রহমান বলেন,আমার চাচাতো ভাই শাহ জালালের কন্য ও একই উপজেলার চক্রা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন ছেলে আবু জাফর সাথে গত (৫ মে) বৃহস্পতিবার তারা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া কেন্দ্র করে শাহ জালাল,তানভীর হোসেন জয়সহ ২০ থেকে ২২জন লোক দলবদ্ধ হয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খিলা গাউছিয়া তৈয়ব আলী ক্যাডেট হাফিজিলা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আমার স্ত্রী সালেহা বেগম ও আমাকে মারধর করেন। নিজেদের জীবন রক্ষার্থে জরুরী ৯৯৯ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে স্থানত্যাগ করেন। পরে আমার স্ত্রী সালেহা বেগমকে উদ্ধার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ছেলে ও মেয়ে পালিয়ে যাওয়া বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, এই নিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমার পরিবারকে হয়রানি করছেন।
প্রেমিক যুগল মো.আবু জাফর ও জুটি আক্তার বলেন, আমরা উভয়ের পছন্দ মত বিয়ে করি,আমরা উভয়ে শুখি আছি। তবে মাওলানা সাইদুর রহমান এ বিয়েতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শাহ জালাল সাংবাদিকদের জানান,আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে মাওলানা সাইদুর রহমান তার মাদ্রাসার শিক্ষক আবু মুসা ও ছাত্র আল-আমিনের সার্বিক সহযোগীতায় জাফর নিয়ে যায়। মেয়ের সন্ধানে জাফরের বন্ধু আল-আমিনকে বললে সে আমার সাথে চড়া হয়, আমি তাকে ডাক দিলে,মাওলানা সাইদুর রহমানসহ তার পরিবারের লোকজন অকর্ত ভাষা গালাগালি করেন।
এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীর উপর হাত উঠান মাওলানা সাইদুর রহমানের স্ত্রী, উভয়পক্ষকে ছুটিয়ে দিতে গেলে মাওলানা সাইদুর রহমান আমাকে মারধর করেন। তার মাদ্রাসায় ও বাড়ীর ভাংচুর করা হয়নি বিষয়টি সম্পন্ন ভিত্তিহীন। বিষয়টি সমাধান করতে আমি চাইলে মাওলানা সাইদুর রহমান সমাধান না এসে উল্ট আমাকে হয়রানি করছেন।