চাঁদপুরে ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধিনে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের দ্বিতীয় কিস্তির জন্যে চাঁদপুরে ২২ কোটি ৯৯ লাখ, ১১ হাজার ২৪ টাকা বরাদ্ধা দেওয়া হয়েছে।

চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার জন্য এ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রিয়াদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ প্রকল্পের টাকা উল্লেখ করা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে এ বরাদ্ধের বিপরীতে এ প্রকল্পের জন্য শ্রমীক নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ১শ’ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ২০১৭ বছরে ২৫ মার্চ দ্বিতীয় প্রর্যায়ের ৪০ দিনের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

দেশের গ্রামীন জনপদের উন্নয়ন ও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের প্রথম প্রর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে এ প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্ধ দেন।

নিয়মানুযায়ী শ্রমীক ও গনফুট মিটার মাটি কেটে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ রয়েছে। কর্মসূচির সমাপ্তির ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পের খরচ, হিসাব, ব্যাংক স্টেটমেন্ট মহাপরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রেরণ করতে হবে। এবং অব্যয়িত টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারের জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্ম সংস্থানের জন্য শ্রম মজুরি, নন ওয়েজ কষ্ট এবং সরদার মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে শ্রম মজুরি ২১ লাখ ৬৮ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ১ লাখ ১৫ হাজার ৯ শ’ ২৪, সরদার মজুরি ১৬ লাখ ২ হাজার টাকা।

চাঁদপুর সদর উপজেলার জন্য উপকারভোগী হচ্ছে ৩ হাজার ৫শ’ ২৪, শ্রম মজুরি ২ কোটি ৮১ লাখ ৯২ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪শত ২৬, সরদার মজুরি ২ লাখ ৫২ হাজার, সর্ব মোট টাকা ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ২৬ টাকা।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ৪শ’ ৭১, শ্রম মজুরি ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭শত ৩১, সরদার মজুরি ২ লাখ ৭০ হাজার, সর্ব মোট টাকা ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭শত ৩১ টাকা।

হাইমচর উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৭শ’ ৮২, শ্রম মজুরি ১ কোটি ৪২ লাখ ৫৬ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮শত ৮৪, সরদার মজুরি ১ লাখ ৮ হাজার, সর্বমোট টাকা ১ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৮শ’ ৮৪ টাকা।

হাজীগঞ্জ উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ৩ হাজার ৭শ’ ৯৮ জন, শ্রম মজুরি ৩ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ১৬ লাখ ১৩ হাজার ১শ’ ২৩ টাকা, সরদার মজুরি ২ লাখ ১৬ হাজার, সর্বমোট টাকা ৩ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ১শ’ ২৩ টাকা।

কচুয়া উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৩শ’ ৫, শ্রম মজুরি ৪ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮শ’ ৬৩ , সরদার মজুরি ২ লাখ ১৬ হাজার, সর্বমোট টাকা ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার ৮শ’ ৬৩টাকা।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ১শ’ ৪৮, শ্রম মজুরি ১ কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ৯ লাখ ১২ হাজার ২শত ৮৩, সরদার মজুরি ১ লাখ ৮ হাজার, সর্বমোট টাকা ১ কোটি ৮২ লাখ ৪ হাজার ২শত ৮৩ টাকা।

মতলব উত্তর উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ৩ হাজার ৩শ’ ৮১, শ্রম মজুরি ২ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮শত ৯০, সরদার মজুরি ২ লাখ ৫২ হাজার, সর্বমোট টাকা ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮শ’ ৯০ টাকা।

শাহরাস্তি উপজেলার উপকারভোগী শ্রমীক সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৬শত ৯১ জন, শ্রম মজুরি ২ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার, নন ওয়েজ কষ্ট ১১ লাখ ৪২ হাজার ৮শ’ ২৫, সরদার মজুরি ১ লাখ ৮০ হাজার, সর্বমোট টাকা ২ কোটি ২৮ লাখ ৫ হাজার ৮শ’ ২৫ টাকা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা পিআইও রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মস্থংস্থান চাঁদপুরে সঠিক নিয়মে হচ্ছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত শ্রমীক ও ঘনফুট মাটি কাটা ইতিধ্যে অব্যাহত রয়েছে। যেখানে অনিয়মের অভিযোগ আসছে, সেখানেই সাথে সাথে যাওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। সরকারের এ প্রকল্প যাতে সঠিক ভাবে কাজে লাগে সেজন্য সব সময় প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করা হচ্ছে। অনিয়ম হওয়ার কোন প্রকার সুযোগ নেই।

তবে অভিযোগ ও রয়েছে, এখন পর্যন্ত অনেক প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ধরা হয়নি বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ঐ সব কাজ গুলো সরকারের বেধে দেওয়া দেওয়া সময়ের পর কিভাবে হবে। না শেষ সব প্রকল্পের কাজ না করেই ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা কাজের টাকা আতসাৎ করবে। এমন ধরনের অভিযোগ ও সরজমিনে পাওয়া গেছে।

একই রকম খবর

Leave a Comment