চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউপি চেয়ারম্যানের কঠোর হস্তক্ষেপে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তবে ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড নেতা ওই বিয়েটি অন্যস্থানে নিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে ওই ওয়ার্ডের আমানুল্লাহপুর গ্রামের ইউপি সদস্য জলিল মোল্লার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। বাল্য বিয়ের শিকার হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া সালাম আক্তার মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। সে ইউপি সদস্য জলিল মোল্লার নাতনি।
কল্যাণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি সকালে জানার পর আমি ইউপি সদ্য জলিল মোল্লাকে পরিষদে ডেকে এনে সাদা কাগজে অঙ্গীকার নামা রাখি। ওই বালিকা তার নাতনি। সাদা কাগজে তিনি বিয়ে দিবেন না, কোন ভাবে বিয়ে হলে সকল দায় দায়িত্ব তার এবং এ বিষয়ে সরকার প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে তিনি স্বাক্ষ করেন।
এছাড়াও ঘটনার জানার পর সাথে সাথে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয় এবং স্থানীয় সকল গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানানো হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। তার নির্দেশেই তাৎক্ষনিক এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
অপরদিকে স্থানীয় একাধিক সমাজ ও রাজনৈতিক কর্মী জানান, ওই এলাকায় বাল্য বিয়ে দেয়ার মূল হোতা হচ্ছে দ্বিলীপ চৌধুরী। সে নিজে ঘটক সেজে এ ধরনের কার্যক্রম করেন। সে এ বিয়েতেও বালিকার পিতা বিদেশে থাকায় টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এলাকাবাসী বাল্য বিয়ে সম্পর্কে সচতেন হওয়ার কারণে বিয়ের গেট ও বর যাত্রীর গাড়ী ফিরিয়ে দেন।