মৈশাদীর ধোপা বাড়ির কাঁড় থেকে নিখোঁজ শাহ কামালকে উদ্ধার

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : নিখোঁজের ১১দিন পর উদ্ধার হলো চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দী পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় অফিস সহকারী শাহ কামাল (৩০)।

রোবাবর (১৪ জুলাই) বিকেলে সন্দেহের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই ছাদেকুর রহমান অভিযান চালিয়ে হামানকর্দ্দী দোপা বাড়ির রেখা রানী দাসের (২৬) দোচালা ঘরের কাঁড় থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মডেল থানা পুলিশ রেখা রানী দাসকে আটক করে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম উদ্দিন ও মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. হারুনুর রশিদ।
বর্তমানে অফিস সহকারী শাহ কামালকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

জানা যায়, একই এলাকার ধোপা বাড়িতে দীর্ঘ দিন আসা যাওয়ার সুবাদে রেখা রানী দাস ও শাহ কামালের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এঘটনায় নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিসী বৈঠক হয়েছে। কিন্ত রেখা রানীর স্বামী প্রবাসে থাকায় আবারো তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এদিকে গত ৩ /৭/১৯ তারিখে শাহ কামাল ঢাকা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ থাকায় তার স্ত্রী ওমায়া আক্তার বাদী হয়ে ৯/৭/১৯ তারিখে চাঁদপুর মডেল থানায় জিডি করে। জিডি নং ৪২৯। এরই প্রেক্ষিতে মডেল থানা পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে হামানকর্দ্দি ধোপা বাড়ির রেখা রানী দাসের ঘড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

কিন্তু শাহ কামাল অসুস্থতার কারনে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নিখোঁজের কারণ সম্পর্কে এখনো ভালো ভাবে জানা যায়নি। তবে রেখা রানী দাস জানায়, বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় আজ থেকে ৫-৭ বছর আগে আসা যাওয়ার কারনে শাহ কামালের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিসীও হয়েছে। গতকাল রাতে সে আবার আমার ঘরে আসে।

নিখোঁজ শাহ কামালের স্ত্রী জানায়, শাহ কামাল বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হওয়ায় আমি বাদী হয়ে থানায় জিডি করি এবং আজ (রোববার) বিকেলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

এঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার এসআই ছাদেকুর রহমান জানায়, গত ৯/৭/১৯ তারিখে নিখোঁজ শাহ কামালের স্ত্রী বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় জিডি করে। এরই প্রেক্ষিতে সন্দেহের ভিত্তিতে হামানকর্দ্দি ধোপা বাড়ির রেখা রানী দাসের ঘরে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করি। কিন্তু সে অসুস্থ থাকায় এখনো নিখোঁজের কারন জানাযায় নি। তবে শাহ কামাল ও রেখা রানীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এঘটনায় রেখা রানী দাসকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে উদ্ধার হওয়া অফিস সহকারী শাহ কামালকে কী অপহরণ করা হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

নিভরযোগ্য ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত কাতিক চন্দ্র দাসের মেয়ে রেখা রানী দাসের সাথে প্রায় ৮বছর শাহ কামালের প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। সে সম্পর্কের এ ঘটনায় পুলিশ ধোপা বাড়ীর মৃত কার্তিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী বাসন্তী রানী দাস, মেয়ে রেখা রানী দাস ও ছেলে সুমন চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরক্ষণে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধুমাত্র মৃত কার্তিক চন্দ্র দাসের মেয়ে রেখা রানী দাসকে আটক দেখানো হয়েছে।

মৈশাদী ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার বারেক খান বলেন, কামালের বোনকে যে নাম্বারে ফোন করা হয়েছে, সে নাম্বারটি গ্রামীন ফোন অফিসে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়। ধোপা বাড়ির কার্তিকের মেয়ে রেখা রানী দাস কামালের এন আইডি দিয়ে মোবাইল সীম রেজিষ্ট্রেশন করেন। সে তথ্যের ভিক্তিতে রেখার বসতঘর থেকে কামালকে উদ্ধার করা হয়। কামালের সাথে রেখার দীর্ঘদিন প্রেম ভালবাসা ছিলো।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম উদ্দিন ও মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. হারুনুর রশিদ।

একই রকম খবর