স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ব্যাংক কলোনি এলাকায় কমিউিনিটি পুলিশিং অঞ্চল প্রধান ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের শিরিন মহলে ডাকাতি ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি । এ পর্যন্ত মামলার কোন অগ্রগতি নেই ।
ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত তাও চিহিৃত করতে পারিনি । যার কারণে শহরের নাগরিকগনের মাঝে এক অজানা আতংক বিরাজ করছে । কেউই নিজেরদেরকে নিরাপদ মনে করছে না ।
পুলিশী নিরাপত্তা জোরদারের দাবী জানিয়েছেন নাগরিকসমাজ । অপরদিকে ৩১ আগষ্ট কমিউনিটি পুলিশিং অঞ্চল-৬-এ এক সভায় কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৬ এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান এর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হওয়ায় এলাকাবাসী গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে।
সভা থেকে অবিলম্বে ডাকাতদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানানো হয়েছে । বিষয়টি পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন নাগরিকসমাজ । এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নতুনবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল মোস্তফা জানান,মামলাটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে । তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না ।
এদিকে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই এ ঘটনায় ওই এলাকায় ডিউটিরত কমিউনিটি পুলিশের টহল পুলিশ জিলন গাজী ও আবু তাহের নামে ২জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । এ আলোচিত ঘটনায় অজ্ঞাত নামা ৭জনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
জানা গেছে, ২৬ আগষ্ট দিবাগত রাতে শহরের বিষ্ণুদী ব্যাংক কলোনি এলাকায় কমিউিনিটি পুলিশিং অঞ্চল প্রধান ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বাসায় একদল মুখোশধারী একাধিক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসার জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে।
তারা ঘরে ঢুকেই প্রথমে অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বড় ছেলে, একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাওন খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ খান এবং তাঁর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ফেলে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে আলমারিতে রক্ষিত ৮০ হাজার টাকা, ছয়টি মোবাইল ফোন সেট, সোনার গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এমন অভিযান চালিয়ে নির্বিঘেœন চলে যায় ডাকাতদল। পরে অধ্যাপক খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে।
জাতীয় অধ্যাপক চিত্রশিল্পী হাসেম খানের ছোটভাই অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান। তিনি চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৬ এর সভাপতি। তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তারও গণমাধ্যমকর্মী এবং শিক্ষক।