শওকত আলী : তিনি হচ্ছেন, চাঁদপুর পৌর পিতা চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি পৌর এলাকার শিশু,কিশোর ও শিক্ষার্থীদের সুন্দর মনের অধিকারী হয়ে তাদের জীবন সুন্দর ভাবে পরিচালনা ও শিক্ষার পাশা-পাশি খেলাধূলায় মনোনিবেশ করার চিন্তায় নিজেকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন।
তাই তিনি শিশু,কিশোর ও শিক্ষার্থীদের জীবন সুন্দর থেকে যেন অসুন্দরে না’যায় এবং মাদকসহ বিভিন্ন পথ থেকে বিরত রাখার জন্য পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ক্রিয়া সামগ্রী নিজ অর্থে কিনে দিয়ে তাদেরকে বিগত প্রায় ২টি বছর একটি লক্ষ নিয়ে চাঁদপুর পৌর চেয়ারের মর্জাদার রক্ষা করে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন স্থানের শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে আলাপ কালে জানা যায়।
চাঁদপুরের এ পৌর পিতা নতুন করে যা’করলেন,তিনি চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার উত্তর শ্রীরামদী কবরস্থান রোড এলাকার ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়ারদের জীবন সুন্দর করতে ও তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মননিবেশ না’করার জন্য খেলাধুলার মাধ্যমে উৎসাহ দিতে ক্রিড়া সাসগ্রী ও ফুটবল কিনে দিলেন,ক্রীড়া অনুরাগী ফুটবল প্রেমী পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
পৌর মেয়র নিজে বিশ্ব ফুটবল খেলোয়ার দল ব্রাজিলের সমর্থক হলেও বিশ্ব ফুটবল খেলোয়ারদের দল আর্জেটিনার সমর্থক পুরান বাজারের একদল ক্ষুদে খেলোয়ারদের ১১ জন খেলোয়ারকে নিজ খরচে বিভিন্ন ক্রীয়া সামগ্রীর পাশাপাশি গতকাল রোববার(৩১ জুলাই) ৫জন ক্ষুদে আর্জেটিনার সমর্থক খেলোয়ারের হাতে একটি ফুটবল তুলে দিয়েছেন। এ ফুটবল গ্রহন করেন, শহরের পুরানবাজার উত্তর শ্রীরামদী কবরস্থান রোড এলাকার আরিফ মাঝির ছেলে মো: শাকিল হোসেন,ছলেমান সর্দারের ছেলে মো: মুজাহিদ সর্দার,আনু সর্দারের ছেলে আব্দুর রহমান,আজগর সর্দারের ছেলে মো: জাকির হোসেন ও মো: সাগর মিয়ার ছেলে মো: সার্জ্জাদ মিয়া।
ক্ষুদে এ খেলোয়াররা ফুটবল নিয়ে পৌরসভা ত্যাগ করার সময় জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে পৌরসভা ত্যাগ করেন। ক্ষুদে খেলোয়াররা জানান,তারা দীর্ঘ বছর ধরে পুরানবাজার ওসমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার মাঠে মাদ্রাসা ছুটির পর ও বন্ধ থাকার সময় ফুটবল খেলা করে থাকে। পূর্বে ফুটবল না’পাওয়ায় তারা চাড়া দিয়ে খেলাধূলা করতো। তারা পৌর মেয়র জুয়েল ভাইয়ের সাথে পৌর নির্বাচনের সময় থেকে তার সাথে ছিল,এখনও আছে আগামীতেও থাকবে। নির্বাচনী প্রচারনার সময় তিনি পুরানবাজার আসলে এ ক্ষুদে খেলোয়াররা তার সাথে থেকে নির্বাচনী শ্লোগান দিত। তারা বলেন,মেয়র জুয়েল ভাই আমাদেরকে সব সময় সহযোগিতা করে। ঈদের সময় আমাদেরকে ঈদের বোনাছ বকশিস দিয়েছে। আমাদের মত অনেককে পোশাক কিনে দিয়েছে। আমাদেরকেও পোশাক দিবে। মেয়র জুয়েল ভাই অনেক ভাল মানুষ। তিনি সকল প্রকার সহযোগিতা আমাদেরকে করেন,অত্যান্ত ভাল মানুষ।
খবর নিয়ে জানা গেছে,বর্তমান পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল গত প্রায় ২ বছর পূর্বে নির্বাচনী প্রচারনাকালীন বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে যখন তিনি যেতেন তখন এলাকার শিশু,কিশোর ও শিক্ষার্থীরা তার সাথে থেকে তার পক্ষে শ্লোগান দিতেন। সেই বিষয়টি তিনি মাথায় রেখে একটি লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে তিনি এভাবে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানের শিশু,কিশোর ও শিক্ষার্থীদের ভালপথে ধাবিত করার জন্য নিজ অর্থে ক্রীড়া সামগ্রী,বিভিন্ন কাজে অর্থদিয়ে সহযোগিতা,পোষাক,সামগ্রী ও ঈদের সময় বকশিস দিয়ে তাদেরকে উৎসাহীত করে যাচ্ছেন। এ ধরনের নিরবে সহায়তা করা বর্তমানে একটি বিড়ল দৃষ্টান্ত বলে দাবী করেছেন,সচেতন মহল ও সুধীজন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন,আমার নির্বাচনের সময় এ ধরনের শিশু,কিশোর ও বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাই তাদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলায় মনোনিবেশ করে তাদেরকে ভালপথে ধাবিত করার জন্য আমি বিভিন্ন এলাকায় ক্রিয়া সামগ্রী দিয়ে এ ভাবে সহায়তা করছি। যাতে তারা খেলাধূলায় মগ্ন থাকে।
এতে করে তারা মাদকসহ বিভিন্ন ভুলপথ পরিহার করবে। তাতে আমাদের এ সমাজ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং আমাদের সন্তানরা মাদক থেকে মুক্ত থাকবে। পুরানবাজারের যে ক্ষুদে খেলোয়ারদের ক্রিয়া সামগ্রী ও ফুটবল দিয়েছি,তারা আমার নির্বাচনের সময় থেকে আমার সাথে ছিল,এখনও আছে। তারা মাদ্রাসায় পড়াশুনার পর এলাকায় ফুটবল খেলার জন্য ফুটবল চেয়েছে।