চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : ঘূর্ণিঝড় “ফণি” চাঁদপুর জেলার উপর দিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৩টায় প্রবাহিত হয়ে গেছে। এর আঘাতে চাঁদপুর জেলা সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর , হাজিগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক কাঁচা ও আধা পাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া মাঠের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান জেলা ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ টি উপজেলার পরিবারগুলোর সদস্যর মধ্য ইতোমধ্যে প্রতি উপজেলায় ১০ টন করে চাল, ২৫ হাজার করে নগদ টাকা ও ২০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে ।
শনিবার বিকেলে হাজিগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্ধর্বপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ টি পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান উপস্থিত থেকে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হাজিগন্জ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
তাছাড়া প্রতি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারদের মাধ্যমে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রæত পুনর্বাসনে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
জেলা প্রশাসন,চাঁদপুর এর সার্বিক সমন্বয়ে যে সকল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, স্কাউট, রোভার, রেডক্রিসেন্ট, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন ও ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, ছাত্র-শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ-গত ৩ দিন যাবৎ বিভিন্নভাবে “ফণি” মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছেন জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর এর পক্ষ থেকে তাঁদের সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা । ভবিষ্যতেও যে কোন দুর্যোগে প্রিয় চাঁদপুরবাসীর পাশে আমরা এভাবেই একতাবদ্ধ হয়ে দাঁড়াব, ইনশাআল্লাহ।