চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি সাড়ে ৩ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে জেলার ৫টি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সবকিছু মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার টাকার। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন কর্তৃক এ তথ্য জানা যায়।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে : চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর, হানারচর ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন, হাইমচর উপজেলার গাজীপুর, হাইমচর সদর ও নীলকমল ইউনিয়ন, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়ন, কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়ন, মতলব (উঃ) উপজেলার মোহনপুর ও এখলাশপুর ইউনিয়ন।

এ ১০টি ইউনিয়নের ৪৯টি গ্রাম ও ২০ চরাঞ্চলের জনগণের ১৩৯টি আবাসিক বা বসবাসের গড় আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার পরিমাণ ১ কোটি আঠার লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর সেমি-পাকা ও টিনের ১০৫টি বাঁশগৃহ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যার আর্থিক ক্ষতি ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ৩৫ হেক্টর ফসলি জমির ফসল নষ্ট বা ক্ষতি হয়েছে। উক্ত ফসলি জমির মূল্য ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

‘ফণী’র আঘাতে জেলার বিদ্যুতের ক্ষতিগ্রস্ত লাইন যে পরিমাণ ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার মেরামতে ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন বলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে। এছাড়াও কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি মেরামতে বা পুনঃ নির্মাণে ২০ লক্ষ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সব মিলিয়ে ৫টি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের এ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার টাকা।

‘ফণী’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এ ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যেক উপজেলায় ১০ টন করে মোট ৫০ টন চাল, প্রতি উপজেলায় ২ শ’ প্যাকেট করে ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং প্রতি উপজেলায় ২৫ হাজার টাকা করে নগদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।

বর্তমানে উল্লেখিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মাফিক সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য সরকারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানা যায়।

একই রকম খবর

Leave a Comment