মতলব উত্তর সংবাদদাতা : চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এস.এম খবির উদ্দিনের খুঁটির জোর কোথায়- জানে না কেউই। সদ্য অল্প কয়েকমাস গজরা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব হিসেবে যোগদান করেন।
যোগদান করেই তিনি পূর্বের ইউপি সচিবসহ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন করাসহ বিভিন্ন অনলাইন কাজের পাসওয়ার্ড বুঝে নেন।
পাসওয়ার্ড বুঝে নেওয়ার পর পরই তিনি তার নিজের মতো পাসওয়ার্ড করে নিজের ইচ্ছামতো জন্মনিবন্ধন করে যাচ্ছে একের পর এক। সম্প্রতি একটি ঘটনায় গজরা ইউনিয়ন দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ফটিকছড়ি হারুয়াল ছড়ি ঠিকানা দিয়ে নাম মোঃ ওমর ফারুক, পিতা- মোঃ ইউনুস, মাতা- রুবী আক্তার দিয়ে একটি ফেক জন্মনিবন্ধন তৈরি করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টি ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বিল্লাল হোসেন তাকে অবহিত করলে এবং কেন এই অবৈধ জন্মনিবন্ধন ফরমটি করা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি ওই মেম্বারের হাতে-পায়ে ধরে আর কখনও করবে না বলে অঙ্গীকার করেন।
অথচ এরপর তিনি পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ১৯৮৪১৩১৭৯৯৪০১১২০১ নং জন্মনিবন্ধনটি তিনি মোটা অংকের টাকা খেয়ে গজরা ইউনিয়ন পরিষদের সার্ভারে জন্মনিবন্ধন করেছেন। জন্মনিবন্ধনকারী নাম- মোসাম্মৎ শাহানাজ, পিতা- আঃ রশিদ, মাতা- হাজেরা বেগম, যার নং- ১৯৮৪১৩১৭৯২৩১০৮৭২৫। এই বিষয়ে গজরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সহিদুল্লাহ প্রধান বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইউপি সচিব এস.এম খবির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উপযুক্ত তথ্য প্রদান করতে পারেনি।
এক সময় তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। এ রকম মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের অহরহভাবে বিভিন্ন জেলার মানুষের জন্মনিবন্ধন করে যাচ্ছে গজরা ইউনিয়ন পরিষদের সার্ভেয়ার দিয়ে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে গজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ শহীদুল্লাহ মাষ্টার এর সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি নিজেই চাঁদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমান সচিবএস.এ খবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সেখানে বিভিন্ন তথ্য প্রমানাদি দিয়ে লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে অভিযোগ করি। আমার অভিযোগে বলা হয়েছে- তার বিভিন্ন অপকর্মের কথা।
এছাড়া তাকে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বদলী করে অন্যত্র নেওয়ার জন্য অথবা ওএসডি করার জন্য। এই লোক দিয়ে আমার ইউনিয়নে পরিষদ চালালে ইউনিয়নের বদনাম হবে। আমার ইউনিয়ন একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল ও দুর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন।
এছাড়া এই সচিব কোন কাজেরই না। সে নিজে কোন কম্পিউটারের কাজ জানে না, প্রতিদিন ঠিকমতো অফিসে আসে না। আসলেও দেরী করে আসে। কিছুসময় থেকে আবার চলে যায়। কিছু কাজ হাতে নিয়ে বলে আমি বাড়িতে গিয়ে আমার মেয়েকে দিয়ে কম্পিউটারে জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজ বের করবো। আমি কম্পিউটারের কাজ জানি না। তার এ সব অনিয়ম দেখে বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে দরখাস্ত প্রেরন করি। চাঁদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন তার বিরুদ্ধে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।