বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরে বিয়ের প্রলোভনে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে পালাক্রমে তিন মাস ধর্ষণ করেছে এক লম্পট যুবক। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে জানালে ও থানায় অভিযোগ করলে ঘর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে কিশোরীর বাবাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে, চাঁদপুর শহরের ১১ নং ওয়ার্ড গুনরাজদী সুখ পাখির ঘাট এলাকায়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ধর্ষনকারী আল-আমিনকে আটক করেছে।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ধর্ষনকারীকে আটক করার পর ২ পরিবারের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে সমজোতার চেস্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ধর্ষণকারী আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়রে করেন। সোমবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মান্নান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ধর্ষণকারী আল-আমিনকে গ্রেফতার করতে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আল- আমিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, এলাকার ছত্তর গাজীর ছেলে আল-আমিন নদীর পাড়ে এসে আড্ডা দিত। একদিন মোবাইল নাম্বার নিয়ে ফোনে কথা বলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে কথা শোনার জন্য আসতে বললে আসি, সে বাড়ির পাশে ভুট্টাক্ষেতে জোরপূর্বক নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য সে ভয়-ভীতি দেখায়।
গেল কিছুদিন পূর্বে মা ঢাকায় গেলে সেই সুযোগে আল-আমিন রাতে ঘরে এসে বেশ কয়েক বার অনৈতিক কাজ করে। সে বেশ কয়েকবার ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে। আল-আমিন ঘর থেকে নেমে যাওয়ার সময় পাশের প্রতিবেশীরা তাকে দেখে পরিবারকে জানায়। ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানায়, মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে লম্পট আল-আমিন বেশ কয়কে বার ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে আল- আমিন ও তার বন্ধু হাসানাত খলিফা, আলিফ খলিফা এসে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তারা ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে বলে জানায়। অবুঝ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় লম্পট আল-আমিন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লম্পট আল-আমিনের ভাই সুমন গাজী ও তার মা আমেনা বেগমসহ এলাকার কিছু দালাল চক্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ছত্তর গাজীর ছেলে আল-আমিন তার দলবল নিয়ে এলাকায় ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছে। এছাড়া সে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে এনে বিক্রি করছে।
তার বড়িতে এখনো ঢাকা মেট্রো ল ২৩-২৩৭৩ নাম্বারে একটি এফ জেড চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ।