গ্রামের বাড়ি শাহরাস্তি, কিশোর বয়সেই মানসিক হাসপাতালে ছিলেন ‘সেফুদা’

মনিরুজ্জামান বাবলু : মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কি নিয়ে কুরিচিপূর্ণ ও অশ¬ীল মন্তব্যকারী সেফাতউল¬াহ ওরফে সেফুদা বাবার তেজ্যপুত্র। সেই ২৫ বছর পূর্বে তাকে তেজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর।

সেফুদা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের পুত্র। সেফুদার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘরে মিলে সেফুদার ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। সেফুদার আপন ভাই-বোনের সংখ্যা জানা গেছে ৮ জন। তবে কারো সাথে সেফুদার সর্ম্পক নেই।

পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। সে আছে ইংল্যান্ডে। তার স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। প্রায় ২২ বছর পূর্বে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যায়। পরিবারের অবাধ্য এই সেফুদা একজন বিকারগ্রস্ত প্রতিবন্ধী বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামের সেফুদার বড় ভাই শামছুল আলম মজুমদারের সাথে কথা হয়।

শামছুল আলম মজুমদার দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, ‘কিশোর বয়সে সেফাতকে আমার বাবা পাবনা পাগলা গারদে দিয়ে আসে। সেখানে কয়েক মাস তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সে মাঝেমধ্যে বাড়িতে ফোন করে। ফোন করেই আমাদের গালিগালাজ করে।’

সেফুদার চাচাতো ভাই রেদোয়ান হোসেন সেন্টুর সাথে কথা হয়। তিনি দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, ছোট বেলা থেকেই সেফুদা পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলতো। পরিবারের কাছে জেনেছি, তাকে একবার পাগলা গারদ ও জেলখানায় রাখা হয়েছিল। তার বাবা হাজী আলী আকবর কোন সম্পত্তি তাকে দেয়নি। তেজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমনকি হাজী আলী আকবর মারা যাওয়ার সময় দেশে আসেনি এই সেফুদা। পরিবারের কারো সাথে তার যোগাযোগ নেই।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফাত উল¬াহ সেফুদাকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননাকারী সেফাত উল¬াহ সেফুকে দেশ এবং বিদেশের মাটিতে যারা আইনের আওতায় সোপর্দ করতে পারবে, তাদের জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।’

স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সেফাত উল¬াহ সেফুদা পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এদিকে শুক্রবার সকাল ১১ টায় সেফুদা ফেইসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন, এটি কোরআন শরীফ ছিলো না। এটি একটি বই। এক কবি উপহার দিয়েছিল। তবে রাগে-ক্ষোভে কথাগুলো বলেছেন বলে দাবী করেন।

একই রকম খবর

Leave a Comment