মো:ইসমাইল হাইমচর প্রতিনিধি : আলোচিত ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের তা-বে বিধস্ত হয়েছে হাইমচর উপজেলার ২নং উত্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও হাইমচরের পত্রিকা হকার রওশনের শেষ ভরসার একমাত্র বসতঘরটি। ভয়ানক ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের তা-বে মোটা আমড়া গাছ ও ক’টি কড়ই গাছ ভেঙে তার ঘরের উপর পড়ে।
এতে ঘরের চাল ছিদ্রি হয়ে বেড়া নিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। অল্পের জন্য বেঁচে যান ঘরে বসবাসকারী ঘর মালিক রওশন ও তার পরিবার। গত ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল হাইমচরে আঘাত হানলে এ ঘটনা ঘটে। পত্রিকা বিক্রেতা হকার রওশন জানান, আমার একমাত্র বসত ঘরটি ভেঙে যাওয়ায়।
গত দু’দিন যাবৎ থাকায় খুব কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাকে সরকারি আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে স্বাভাবিক জিবন যাপনে সহযোগিতা করার জন্য।
বলা বাহুল্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে ঘূর্নিঝড় বুলবুলের ভয়াবহ তা-বে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৪ শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঘুর্নিঝড় বুলবুলের আঘাতে ঘর বাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গাজিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী জানান, আমার এলাকায় মৎস্য আড়তসহ ৫০টি বসত ঘরের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের ফসলে ক্ষতি হয়েছে। কোন লোকজন আহত হওয়ার সংবাদ পাই নি। চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ আলি মাষ্টার জানান, চরভৈরবীতে ২/৪টি ঘর বিধ্বস্ত হওয়া ছাড়া তোমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে কিছু কিছু এলকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের কোন সংবাদ পাইনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রশিদ বলেন, হাইমচরে ঘূর্নিঝড় বুলবুলের তা-বে লিলায় প্রায় ৪ শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তবে তার পরিমান এখনো নির্নয় করা হয়নি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, হাইমচরের নদীর ওপাড়ের গাজিপুর, নীলকমল ও হাইমচর ইউনিয়নে প্রায় ৩শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া নদীর এ পাড়ের আলগী দক্ষিণ, আলগী উত্তর ও চরভৈরবী ইউনিয়নে গাছ পালা পড়ে ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে হাইমচরে ৪ শ’ এর উপরে ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে গতকাল থেকেই আশ্রিত লোকদের শুকনো খাবার প্রদানসহ ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগীতা করে আসছি। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পর্কে জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে শীঘ্রই জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠাবো। আশা করি খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো সাহায্য সহযোগীতা পাবে।