স্টাফ রির্পোটার : আকিজ গ্রুপের চার কোটি টাকার চিনি লাইটারেজ জাহাজ থেকে নামিয়ে বিক্রির ঘটনায় দায়িত্ব মামলায় চাঁদপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম মরুর ও ফজল প্রধানিয়াকে করেছে।
জানা গেছে,চাঁদপুর নৌ থানার ইনচার্জ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
চাঁদপুরের এই দুই চিহ্নিত চোরাকারবারির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অকটেন তেল চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইন্ডিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে দেওয়ান মেহেদী টু লাইটারেজ জাহাজে ২০ হাজার ৩০০ বস্তা চিনি নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পথিমধ্যে চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুর মেঘনা নদীতে নঙ্গল করে ৮ হাজার বস্তা চিনি চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম মরু, তার সহযোগী রঘুনাথপুর এলাকার শাহজাহান পুরান বাজারের ফজল প্রধানিয়া ও আলি খানের মাধ্যমে পাচারের পর বিক্রি হয়।
এই ঘটনায় আকিজ গ্রুপ অফ কোম্পানির পক্ষ থেকে চাঁদপুর মতলব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অবশেষে মতলব মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দেওয়ান মেহেদী টু লাইটারেজ জাহাজের মাস্টার সহ ১১ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চাঁদপুরে চিহ্নিত চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম মরু সহ চারজনের নাম প্রকাশ পায়।
সেই চোরাকারবারিরা আকিজ গ্রুপ অফ কোম্পানির ৮ হাজার বস্তা চিনি সেই লাইটারের জাহাজ থেকে স্টিল বোর্ডি ট্রলারে নামিয়ে ফরিদপুরের বাকিতুল্লাহ বিশ্বাসের কাছে মাল বিক্রি করে। সেই চিনি ফরিদপুর মাদারীপুর ও কুষ্টিয়ায় পাচার করেছে বলে তথ্য মিলেছে।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম থেকে চিনি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওয়ান মেহেদী টু লাইটারেজ জাহাজ থেকে ৮ হাজার বস্তা চিনি পাচার হয়ে যায়। সেই ঘটনায় জাহাজের মাস্টার সহ ১১ জন আটক করার পর চাঁদপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারীদের নাম বেরিয়ে আসে। এই ঘটনায় সেই চোরাকারবারীদের ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে অভিযুক্ত চোরাকারবারীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
এই দুই চোরাকারির বিরুদ্ধে চীনি পাচার সহ আরো দুটি মামলা রয়েছে সেই মামলায় তাদের আটক করা হয়েছে।
অবশেষে এই দুই চোরাকারবারীদের পুলিশ আটক করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাঁদপুরের চিহ্নিত গডফাদার চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম গাজী ওরফে মরু হাজী দীর্ঘ বছর যাবত নদীতে লাইটারেজ জাহাজ থেকে বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানির মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। সে এই কাজ করে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তার নামে ব্যানামে বাড়ি ও জায়গা জমি রয়েছে তিনি চাঁদপুর স্ট্যান্ড রোডে তার নিজস্ব পাঁচতলা ভবনে আলিশান বাড়িতে বসবাস করে।
এই চোরাকারবারি জাহাঙ্গীর আলম মরু ও ফজল প্রধানিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে চাঁদপুরে চোরাকারবারি বন্ধ হবে।