স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাটে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে পারাপারের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। হরিনা বিআইডবিøউটিসি’র অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা টার্মিনাল পার্কিং, স্পেশাল এর নামে ও কাউন্টারে হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হরিনা ফেরিঘাটে ভুক্তভোগী ট্রাকচালকরা জানায়, হরিনা টার্মিনালে পার্কিং চার্জের নামে বিআইডবিøউটির সিকিউরিটি আঙ্কুর মিয়া ও কালাম চালকদের কাছ থেকে ২০থেকে ৫০ টাকা চাঁদা আদায় করে।
এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১১০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও বিআইডবিøউটিএর কর্মচারী কবির ১২০ থেকে ১৫০ টাকা আদায় করে।
এছাড়া প্রতিদিন ভোর রাতে স্পেশাল এর নামে বিভিন্ন ট্রাক চালকের কাছ থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। বিআইডবিøউ টি সির অসাধু কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চলছে ফেরি ঘাটে নিরবে বেপরোয়া চাঁদাবাজি।
সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় টিকিট কাউন্টার। প্রতি ট্রাক চালকদের কাছ নির্ধারিত ভাড়া চাইতে অতিরিক্ত ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সিদ্দিকুর রহমান গাজী জানায়, প্রতিদিন চালকদের কাছ থেকে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে অসাধু কর্মচারীরা।
ট্রাক চালক দের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চালকদের সাথে সরকারি কর্মচারীদের বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্পেশালের নামে গাড়ি চালকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে। সেই টাকা তারা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অভিযুক্ত বিআইডবিøউ টি সিকিউরিটি আঙ্গুর মিয়া জানায়, গাড়ির সিরিয়াল দেওয়ার সময় চালকরা খুশি হয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা দিয়ে থাকে তাতে দোষের কি, এখানে যারা ডিউটি করে সেই টাকা তারা ভাগ যোগ করে নেয়।
চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে দায়িত্বে থাকা হরিনা ফেরিঘাটে কাউন্টারের লোকজন।