স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের সড়কগুলোতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরা মোটরসাইকেল চালিয়ে শুরু করেছে মানুষ মারার মিশন।কারা এই শিশুদের কাছে নামীদামি মেটরসাইকেল তুলে দিচ্ছে? সে রহস্য উদঘাটন করতে প্রস্তুত নয় থানা পুলিশ।
গেলো ১৪ এপ্রিল রাতে শহরস্থ স্টেডিয়াম রোডের সিটি হাসপাতালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আব্দুল জলিল পাটোয়ারী(৫৪) নামের এক পথচারী।সে সময় মাইনুদ্দিন বাবুলের ছেলে নাহিদ হাসান মাসুক(১৪) এবং মিজানুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক হৃদয়(১৪) বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালিয়ে এসে সজোড়ে ধাক্কা মারে পথচারী জলিলকে।
ওই সময় জলিল আহত হলেও পরে সে মৃত্যুবরন করে।যেজন্য অনাথ হয়ে যায় জলিলের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান।এদিকে এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেন জলিলের ভাই হারুন পাটোয়ারী।সেই সূত্রেই চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস আই মোঃ মিরাজ হোসেন খান ওই দুই মোটরসাইকেল চালককে আটক করে।সেই সাথে আটক করে ওই ঘটনায় ব্যবহৃত হওয়া সুজকি মোটরসাইকেলটিও।
এই নাবালক শিশুদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া যুবককের নাম তামিম বলে জানায় পুলিশ।যাকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে এস আই মিরাজ জানান, ঘটনা ঘটিয়েছে যারা সেই নাহিদ ও ফারুককেতো আইনের আওতায় আনা হয়েছে।তবে যার মোটরসাইকেল সে বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান,আমরা মোটরসাইকেলটি আটকে রেখেছি।উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে এই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিককে তা কোর্টের মাধ্যমে নিতে হবে।
এদিকে এমন ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান,আমরা এ ঘটনায় ২ আসামীকে আটক করেছি।যাদের বিষয়ে ২৩ এপ্রিল তারিখে মামলা হয়েছে।মামলা নং-২৮।
আমরা কোন অপরাধীকে ছাড় দেই না।তবে সুধী মহল জানতে চায় আর কতদিন ধনীর অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুলালেরা অসহায় জলিলদের প্রাণ নিবে?কত দিন অনাথ করবে জলিলের ছেলে মেয়েদের?