চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, ‘ কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে আমরা যদি কৃষকদের সহযোগিতা না করি। তাদের উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রশাসনিক সহযোগিতা না থাকে, তাহলে আমাদের জমির যে উপযুক্ত ব্যবহার সেটা সঠিকভাবে করতে পারবনা। আমাদের উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারবনা।
এ জন্য সরকার কৃষকদেরকে সার্বিকভাবে সহায়তা করে। বাজারে অনেক সময় কৃষক তার পণ্য সঠিক দামে বিক্রি করতে পারে না। যে কারণে সরকার কৃষকের উৎপাদিত ধান ও চাল সঠিক মূল্যে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে। যাতে করে কৃষক ন্যায্য মূল্য পায়।’
গতকাল ১৯ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চাঁদপুর জেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার চায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাক। কৃষকরা যাতে তৃতীয় পক্ষের সহায়তা ছাড়াই সরাসরি এসে ধান ও চাল বিক্রি করতে পারে। বিগত কয়েক বছর সে জন্য আমরা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কয়েকটি উপজেলা এ্যাপস এবং বাকিগুলোতে কৃষক সরাসরি এসে ধান ও চাল বিক্রি করতে পারছেন। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। কৃষকরা যেন কোনভাবে হয়রানির শিকার না হয়।’
জেলা প্রশাসক খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষকদের যেন কষ্ট না হয়, সেজন্য প্রথমে তাদেরকে ধান ও চালের নমুনা নিয়ে আসতে বলবেন। নমুনা সঠিক থাকলে তারপর তার বিক্রিয়যোগ্য ধান ও চাল নিয়ে আসবে। আর নিয়মের ঘাটতি থাকলে তার জন্য পরামর্শ দিবেন। পরবর্তীতে তারা ধান ও চাল প্রস্তুত করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসবে। আপনারা দায়িত্ববান না হলে সরকারের এই মহতী উদ্যোগ সফল করা সম্ভব হবে না।’
অঞ্জনা খান বলেন,‘সরকার সব সময় ব্যবসা করতে চায় না। সরকার চায় বাজার নিয়ন্ত্রণ থাকুক। ন্যায্য মূল্যে যাতে জনগণ চাল ও অন্যান্য পন্য কিনতে পারে। আপনারা সরকারের নিয়মগুলো মেনে চলবেন। কোন কৃষক তৃতীয় পক্ষের কাছে যাবেন না। খাদ্য গোদামে আসার সময় গেটে কৃষকদেরকে কোন ধরণের হয়রানি করবেন না। যাতে একজন কৃষক সরাসরি কর্মকর্তাদের কাছে এসে তার ধান ও চাল বিক্রির জন্য কথা বলতে পারেন। এসব বিষয়গুলো সার্বিকভাবে তদারকি করার জন্য আমি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানাব।’
চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.শাহ জামাল, জেলা খাদ্য গুদামের ম্যানেজার রবিন্দ্র লাল চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন, এনএসআই উপ-পরিচালক মো. মেহেদী হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবযানী কর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, কৃষক প্রতিনিধি কাউন্সিলর মো. আলমগীর গাজী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক আব্দুর রহমান।