স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের শুদ্ধতম সংঙ্গীত চর্চার সংগঠন আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের বর্ষবরণ আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিক্ষায়তনের সদস্য ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থাপনায় বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির ধারায় গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজে আনন্দধ্বনির বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও একই দিন সন্ধ্যায় পুরাণবাজার উদয়ন কচিকাঁচার মেলায় এবং ১৫ এপ্রিল ডাকাতিয়ার নদীর পাড়ে জেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ আনুষ্ঠান সঙ্গীত পরিবেশন করে এ সংগঠনটি।
শনিবার শিল্পকলা একাডেমিতে আনন্দধ্বনির সংগীত পরিবেশনের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ। আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মোঃ মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি ফারুক আহমেদ ও জেলা পরিষদ সদস্য মুকবুল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি রাষ্ট্র অসাম্প্রদায়িক চেতনা না থাকলে শুদ্ধ, সুন্দর আর ভালো হয় না। বাঙালি অসাম্প্রদায়িক চেতনা সারা পৃথিবীতে প্রসংসিত। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই এই দেশে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদের ঠাঁই হতে পারে না। আমাদের সন্তানদের জঙ্গিবাদ ও মাদকের হাত থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমে বাঙালী, তারপর মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্য ইতিহাস ধারণ ও লালন করতে হবে। আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিফৌজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌ. দেলোয়ার হোসেন, এনএসআই এর ডিডি ফারুক হোসেন, লেখক ও বিতর্ক সংগঠক ডা. পীয়ূষ কান্তি বড়ুয়া, লেখক জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বিপ্লব, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আব্দুস সোবাহান রানা, মাহাবুব আলম, সূভাষ চন্দ্র দাস, নাছির খান, মাইনুল ইসলাম মানিক, অাশিক বিন রহিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, সদস্য, শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ। এছাড়াও চাঁদপুরের অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।