চাঁদপুরে ইন্ধিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের সন্ধ্যাকালীন সংগীতানুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে ইন্ধিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া, ঢাকা এবং সহকারী হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া, চট্টগ্রাম এর আয়োজনে সন্ধ্যাকালীন সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৯ জুন শনিবার চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্দিরা গান্ধী তৎকালীন সময়ে আমাদের দেশের জন্য যে ভ‚মিকা রেখেছে। তা আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আজিবন কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ রাখবো।

কারন ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। তিনি আরো বলেন, ভারত শুধুমাত্র সা¤প্রদায়িক পাকিস্তানের জন্য শীর্ষ পর্যায়ে যেতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তবে আমরাও কিন্তু এক সময়ে অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিলাম। আর এখন আমাদের বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্প সংস্কৃতিতে চাঁদপুর অন্যান্য জেলার চেয়ে অনন্য এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতেই আমরা কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, ইন্দিরা গান্ধী আমাদের দেশের জন্য দুর্লভ অনুভ‚তি। এ জাতি কখনো স্বাধীন ছিল না। এই ঘুমন্ত জাতিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাগ্রত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা আমাদের এই স্বাধীনতা। তিনি কারাবন্দী নেতা ছিলেন। এই বিশ্ববাসী তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন। সা¤প্রদায়িক শক্তিকে এদেশের মাটিতে কবর দেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই সা¤প্রদায়িক শক্তি মাথা ছাড়া দিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ১ কোটি সরণার্থীকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ভারতের ১২ হাজার সেনা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে। পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন ইতিহাস হয়ে থাকবে ভারতের কথা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে নকশাল আন্দোলন চলছিল। তখনও ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধে তাদের সৈন্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন সীমারেখা নেই। সেই দিক থেকে চাঁদপুরে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে তারা প্রতিনিয়তই সাংষ্কৃতিক কর্মকা- করে যাচ্ছে।

আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ইন্ডিয়ার সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ইন্ধিরা গান্ধী তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের সাথে যেই বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছে।তা এখনো অটুট আছে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।এজন্যই ইন্ধিরা গান্ধীর কালচারাল সেন্টারের উদ্যোগে এতো সুন্দর ১টি অনুষ্ঠানে সবাই একত্রিত হতে পারছি।

তিনি আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে যেভাবে বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক রেখে এগিয়ে চলছে।সে ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতিতেও সমান অবদান রেখে আরো বহুদ‚র এগিয়ে যেতে হবে।আমি সকলের উদ্দেশ্যে সেই প্রত্যাশাই রাখছি।ছড়াকার ডা. পিয‚ষ কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(হেডকোয়ার্টার) মোঃ আসাদুজ্জামান, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের মহাপরিচালক ড. নীপা চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক সংগঠক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী কে সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।পরে সংগীত শিল্পী রূপালী চম্পকের একক সংগীত ও নৃত্যাঙ্গণের শিল্পীদের মনমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।এর আগে জেলা প‚জা উদযাপন পরিষদ ও শ্রী শ্রী জগন্নাত মন্দির পুরানবাজারের পক্ষ থেকে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। এ সময় চাঁদপুরের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধি মহলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান স্থল কানায় কানায় পরিপ‚র্ণ ছিলো।

একই রকম খবর