চাঁদপুরে ঈগল-৩ লঞ্চে যাত্রীদেরসাথে প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা-চাঁদপুর এর মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী এমভি ঈগল-৩ লঞ্চে যাত্রীদের সাথে প্রকাশ্যে প্রতারণা করে আসছে। অভিযোগ দেয়ার জন্য সঠিক মাধ্যম না পাওয়ায় মুখ খুলছেন না যাত্রীরা। এই সুযোগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ।

ঈগল লঞ্চ-৩ সঠিক সময়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসলেও লঞ্চের মধ্যে প্রথম শ্রেনী, বিজনেস ক্লাশ ও ভিআইপি কেবিনের যাত্রীদের সাথে চলছে প্রতারণা। এসব স্থানে প্রচন্ড গরমে এসি লাগানো থাকলেও খুবই গরমের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এসিগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে । দীর্ঘদিন আগে এসব এসিগুলো লাগানো হলেও মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

সোমবার (৬ মে) দুপুর আড়াইটায় যথা সময়ে লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। প্রথম শ্রেনীতে টিকিট কেটে কয়েকজন যাত্রী প্রবেশ করেন। কিন্তু প্রথম শ্রেনীর কক্ষে প্রচন্ড গন্ধ আর দমকা হাওয়া দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কিছুক্ষণ পরে টিকিট মাষ্টার লিটন এসি ঠিক করার মিস্ত্রি নিয়ে আসলেও তিনি মেরামত কিংবা ঠিক করে এসিগুলো চালু করতে পারেন নি।

প্রথম শ্রেনীতে যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়েছেন ২২০ টাকা, বিজনেস ক্লাশ ২৫০ টাকা। কিন্তু কোন যাত্রীই তার নিজস্ব আসনে গরমের কারণে ঠিক করে বসতে পারেননি। গরমের কারণে লঞ্চের বারেন্দায় সময় কাটিয়েছেন প্রায় ৩ঘন্টা।

লঞ্চের এক যাত্রী মিজানুর রহমান ও মাসুদ তালুকদার জানান, প্রায় সময় ঈগল লঞ্চের এই ত্রুটি পাওয়া যায়। এসিগুলো ঠিক করে চলে না। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে ঠিকই ভাড়া আদায় করে প্রতারণা করছেন। তারা দু’জনেই ব্যাক্তিগত কাজে এই লঞ্চে যাতায়াত করেন।

খোঁজ নিয়ে লঞ্চের দায়িত্বে থাকা একাধিক লোকের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, মালিক পক্ষকে এসব বিষয়ে তারা জানিয়েছেন। কিন্তু মালিক পক্ষ এসব বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেন না। কিন্তু লঞ্চের দায়িত্বরত স্টাফদেরকে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের কথা শুনতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা এ বিষয়ে লঞ্চের মালিক ও চাঁদপুরে দায়িত্বরত প্রশাসনের কাছে এই ধরণের প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।

একই রকম খবর

Leave a Comment