ইব্রাহীম খান : আর মাত্র ১৯দিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। চাঁদপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ বাজার । ধর্মপ্রান মুসলমানরা দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনার পর তাদের ঘরে এ দিনটি নিয়ে আসে ঈদ আনন্দ।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে এটি একটি। আর এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেকটা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে জানা যায়।
গত ২৭ মে বাজারে গিয়ে দেখা যায় পুরান মোটা চাউল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৭.৫০ পয়সা দরে যা রমজানের আগে ছিল ৩৯টাকা দর। চিকন নতুন মিনিকেট চাউল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৮.৫০ পয়সা দরে যা রমজানের আগে ছিল ৫৮ টাকা দর, নতুন মোটা চাউল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৬.৫০ পয়সা দরে যা রমজানের আগে ছিল ৩৯.৫০ টাকা দর।
মুশড়ির ডাল মোটা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে ও চিকন ৮৫ টাকা দরে। সয়াবিন তেল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা দরে। সেমাই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে ও বনফুল ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চিনি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা দরে যা রমজানের আগে ছিল ৫৫ টাকা।
এদিকে এরইমধ্যে খেসড়ি, ছনা বুট সহ বেশি কিছু পন্যের দাম কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে মাংসের বাজারে গরু, খাসির মাংসের দাম কিছুটা বাড়লেও অন্যান্য মাংসের দাম আগের মতই রয়েছে।
যেমন- গরুর মাংস ৪৮০টাকা বিক্রি হচ্ছে পূর্বে ছিল ৪৬০ টাকা, খাসির মাংস ৮শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পূর্বে ছিল ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী কেজি প্রতি ১৪৫টাকা বিক্রি হচ্ছে পূর্বে ছিল ১৫০ টাকা, কট মুরগী ২৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে পূর্বে ছিল ২৮০/৩০০ টাকা, তবে অপরিবর্তিত রয়েছে দেশী মুরগীর দাম।
এ ব্যাপারে এক মুদী ব্যবসায়ী জানান, রমজানের পূর্বে বেঁচাবিক্রি অনেক ভাল ছিল। এখন আবার ধীরে ধীরে ঈদের বেচা বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। তবে পনের রমজানের পর ঈদ বাজার আরো জমে উঠবে বলে তাদের ধারনা।
এদিকে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে শুরু করেছে শাড়ী, কাপড়, কসমেটিকস সহ বিভিন্ন পোশাক সামগ্রীর দাম।
জানা যায়, একই কাপড় গজ প্রতি আগে যেখানে বিক্রি হত ৪০/৪২ দারে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে। এ ব্যাপারে নাছিমা বেগম নামে এক ক্রেতা জানান, একই কাপড় রমজানের পূর্বে নিয়েছিলাম প্রতি গজ ৪০ টাকায়, যা এখন ৪৫ টাকায় নিতে হচ্ছে। তবে বাজারে নিত্য পন্যের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।