চাঁদপুরে ‘জীবনদীপে’র সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন সনদপত্র লাভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মানব উন্নয়ন সেবামূলক সংস্থা, জীবনদীপ চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধন সনদপত্র লাভ করেছেন।

২২ জুলাই সোমবার দুপুরে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রজত সুভ্র সরকার ‘জীবনদীপে’র প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডঃ বিনয়ভূষণ মজুমদারের হাতে এ সনদপত্র তোলে দেন।

এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ গোলাম আজম, রেজিস্ট্রার অফিসার সানজিদা শেফা আয়েশা, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, পৌর সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সদ্দার আবুল বাষার, ‘জীবনদীপে’র কার্যকরি সদস্য মৈশাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত কর, ২ নং বালক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল গোস্বামী, মৃদুল কান্তি দাস, এস কে সুদীপ তন্ময়, মেরীন চীফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণ পদ ঢালী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ ইং সালে অসহায় দুঃস্থ মানষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে অ্যাডঃ বিনয়ভূষণ মজুমদার মানবউন্নয়ন সেবামূলক সংস্থা জীবনদীপ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকে সংগঠনটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মাঝে স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহসহ সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অসহায় মানুষকে তাদের প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ করে দিতে পারাটাই যেন এখন তার নেশায় পরিনত হয়েছে।

সনদপত্র গ্রহণকালে অনুভূতি প্রকাশ করে অ্যাডঃ বিনয়ভূষণ মজুমদার বলেন, কোন ভালো কাজই বিফলে যায় না। ভালো কাজের স্বীকৃতি আছেই। ভালো কাজ করলে তার মূল্যায়ন হবেই। দেখা যায় অনেক সময়, এক ব্যাগ রক্তের জন্য মানুষকে অনেক খোজাখোজি করতে হয়। যোগাযোগের কারণে মানুষ তার প্রয়োজনীয় রক্ত থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের সমাজে অনেক ভালো মনের মান্ষু রয়েছে, যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে এক গøাস পানি পর্যন্ত রোগীর আত্মীয় স্বজন বা পরিবারের কাছ থেকে গ্রহন করতে চায় না।

অথচ এ সকল নীরব সমাজ কর্মীদের আমরা সেভাবে মূল্যায়ন করতে পারি না। আজ সমাজসেবা অধিপ্তর ‘জীবনদীপ’কে তার কাজের মূল্যায়ন করেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরে ‘জীবনদীপে’র নাম নিবন্ধিত হয়েছে। এজন্য আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ যারা স্বেচ্ছায় সেবামূলক কাজের মাধ্যমে ‘জীবনদীপে’র পাশে দাড়িয়েছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিবন্ধন প্রাপ্তিতে আগামীতে ‘জীবনদীপে’র কার্যক্রম ও দায়িত্ববোধ বেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

একই রকম খবর