ইব্রাহিম খান : চাঁদপুরে বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কমসূচী সংক্রান্ত ও অপরাধ সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির য়ৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভা প্রধানের বক্তব্যে রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উপ-সচিব মোহাম্মদ শওকত ওসমান।
এসময় তিনি বলেন, সরকার বেদে সম্প্রদায়কে সর্বাধিক সূযোগ সূবিধা দিয়ে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনে আরো প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকার নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিচ্ছেন। বিশেষ করে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে তাদেরকে আরো সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।নানা কমসূচী গ্রহন করা যেতে পারে ।প্রশিক্ষনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে ।
তিনি বলেন, বেদে সম্প্রদায়ের মধ্যে বাল্য বিয়ের প্রবনতা রয়েছে। এই সম্প্রদায়ের যারা নেতা তারা অনেক সময় একাধিক বিয়ে করেন। এইসব বিষয়গুলো প্রশিক্ষণ এবং তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছে। এসব বিষয় সাধারণ মানুষ জানেন না। আমাদেরকে বিষয়গুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অপরাধ সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির সদস্যদেরকে কারাগারে ভিজিটের ব্যবস্থা করা হবে । কারাগারের কয়েদীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে । চাঁদপুর জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঞ্জিত শুভ সরকারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও অপরাধ সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেল সুপার মো. মাঈনুদ্দিন ভুঁইয়া , দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক ও সমিতির সদস্য কাজী শাহাদাত, দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ও সমিতির সদস্য সোহেল রুশদী, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলাম আজম, পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল।এসময় বেদে সম্প্রদায়ের উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বেদে সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনে আরো প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকার নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়েছেন। বিশেষ করে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে তাদেরকে আরো সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া। তিনি বক্তব্যে বলেন, বেদে সম্প্রদায়ের যারা নৌকাতে বসবাস করেন। আমরা তাদের জন্য জায়গা দেখছি। তাদেরকে সরকার পুনর্বাসন করবে। সরকার সকল নাগরিককে তার প্রাপ্য অধিকার দেয়ার চেষ্টা করছে।
বেদে সম্প্রদায়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নেত্রী বেগম, শিমলা আক্তার, জেসমিন বেগম, দেবা দাস ও উত্তম চন্দ্র দাস প্রমূখ।