স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের ছুটিসহ অতিরিক্ত ছুটি শেষ হচ্ছে শনিবার (২৩ জুন)। দীর্ঘ ৯ দিন ছুটি শেষে ভোর থেকেই চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে কর্মমুখী হাজারো মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
তবে লঞ্চগুলো কর্মমুখী অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। কোস্টগার্ড ও প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করেও যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে চড়ে বসছেন। লঞ্চ মালিকরাও তাদের কাছে নিরুপায়।
সকালে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চাঁদপুরের কোস্টগার্ড। তারা লঞ্চের ছাদে অথবা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দিচ্ছেন না।
কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. এম এনায়েত উল্লাহ বলেন, যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তাসহ যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা সতর্ক রয়েছি। কোনো লঞ্চেই অতিরিক্ত যাত্রী এবং লঞ্চের ছাদে যাত্রী ওঠানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছি।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ওসি মো. রেজাউল করিম ভূঁইয়া বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক লঞ্চ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মাইকিং করে যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে যেন তারা জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে লঞ্চে যাতায়াত না করেন।
বিআইডাব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে গত দুই/তিন দিন ধরে কর্মমুখী যাত্রীদের প্রচ- ভিড়। প্রায় প্রতিদিন অতিরিক্ত লঞ্চসহ প্রায় ২০টি লঞ্চ চাঁদপুরঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা আরও লঞ্চ বাড়িয়ে দিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিব।
তিনি আরও জানান, যাত্রী নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, বিআইডাব্লিউটিএ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।