সাইদ হোসেন অপু চৌধুরীঃ চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক চেম্বারে দালালদের উৎপাত বেড়েছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকা থেকে এক দালাল ওমর ফারুককে হাতেনাতে আটক করা হয়।
জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক সুফি খায়রুল আলম খোকন জানান, চাঁদপুর শহরে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত বিভিন্ন দালালরা প্রতিনিয়ত রিকশা যোগে কাজ করে থাকে। তারা রোগীদের ভুলভাল বুঝিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। এতে করে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আমরা কমিউনিটি পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং এবং দালাল নির্মূলে সর্বদা কাজ করে থাকি।
তিনি আরো জানান বৃহস্পতিবার সকালে আমার কাছে দালালদের হয়রানি নিয়ে একটি ফোন আসে। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই এবং একজনকে আটক করি। কিন্তু তার সহযোগি বাকি ২ জন পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ওমর ফারুকসহ ৩ টি রিকশা জব্দ করা হয়।
ভুক্তভোগী উজ্জ্বল ছৈয়াল জানান আমি খালাকে নিয়ে ডাঃ মীনু রানীর চেম্বারে যাই। সেখানে আমাদের দেখে রিকশার দালাল ওমর ফারুক জোর পূর্বক ডাঃ শামছুন্নাহার তানিয়ার কাছে নিয়ে যেতে চায়। আমরা অনিচ্ছা প্রকাশ করলে সেখানে থাকা ওমর ফারুকসহ তার সহযোগিরা মারধর করে। এক পর্যায়ে আমি ফোনে জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদককে মোবাইল ফোনে অবহিত করি। তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দালাল ওমর ফারুকসহ তিনটি রিক্সা জব্দ করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এস আই পলাশ বড়ুয়া জানান, আমরা কমিউনিটি পুলিশের সেক্রেটারির সহযোগিতায় একজন দালালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। দালালদের কাজে নিয়োজিত ৩ টি রিক্সা কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়। আমরা দালালদের বিষয়ে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।