চাঁদপুরে দু’গৃহবধু ও যুবকের আত্মহত্যা

মনিরুজ্জামান বাবলু : চাঁদপুরের তিন উপজেলায় দুই গৃহবধু ও যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর নিলাম বাড়ীতে গৃহবধু মারজাহান (২৫) আত্মহত্যা করে। সে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর দাবী। তাকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করা হয়।

তবে ওই গৃহবধুর চাচা বাবুল মিয়া জানান, এটি রহস্যজনক মৃত্যু। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। ছয়মাস পূর্বে বিয়ে হয় মারজাহানের। তারপর থেকে যৌতুকের দাবী করে আসছে স্বামী সুমন ও তার পরিবার। মারজাহানের বাবা জহির দারিদ্র হওয়া যৌতুক দিতে পারেনি।

শাহরাস্তি থানা উপ-পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন বলেন, এটি রহস্যজনক মৃত্যু। ময়নাতদন্ত করা হলে বলা যাবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা।

এদিকে স্বামীর পরকীয়া ও শ্বশুরবাড়ীর নির্যাতন সইতে না পেরে আঁখি আক্তার (২৫) আত্মহত্যা করে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফনিশাইর গ্রামের সর্দার বাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করে আঁখি। ওই গৃহবধূ শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আজাগরা গ্রামে আমানত শাহর স্ত্রী। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আঁখির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। গত সপ্তাহে স্বামী তার উপর শারিরিক নির্যাতন চালায়। এতে অভিমান করে বাবার বাড়ীতে চলে যায় আঁখি। বিয়ের পর থেকেই আঁখির উপর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বিয়ের দুইমাস পর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি বৈঠকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ সুরাহ হয়। তারপরও সুখকর হয়ে উঠেনি আঁখির সংসার।

আঁখি আক্তারের চাচা তানভীর হোসেন বলেন, রবিবার আঁখি আত্মহত্যা করে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে রাতে মৃতদেহ হস্তান্তর করে। বিয়ের পর থেকে আঁখি পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ করেছে। তার স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগগুলোতে উল্লেখ্য করা হয়।

অন্যদিকে হাজীগঞ্জ পৌরসভার আড়াখাল গ্রামে স্ত্রী ও পরিবারের হাতে পরকীয়ার ছবি প্রকাশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা করেছে এক সন্তানের জনক রবিউল আলম (২৬)। সোমবার সকালে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

সে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড আড়াখাল বাচ্চু মিয়ার ছেলে। শনিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় রবিউল। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওইখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে মারা যান। রবিউল আলমের স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।

একই রকম খবর

Leave a Comment