চাঁদপুরে বায়োমেট্রিক হাজিরার মেশিন ক্রয় করবে স্ব’স্ব’ ম্যানেজিং কমিটি

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : অবশেষে চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিদেরকে।

বিষয়টি গতকাল ৭ জুলাই দৈনিক চাঁদপুর খবরকে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেরা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।

তিনি গতকাল দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা স্কুল কমিটি করবে । আমি চাচ্ছি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বায়োমেট্রিক হাজিরা কেনা হয় । আগের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না । আমি বিষয়টি জেনে সদর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছি । ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে এখন বায়োমেট্রিক হাজিরা μয় করবে । তবে আমি চাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে মানসম্মত বায়োমেট্রিক হাজিরা কেনা হয় ।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জেলার এক হাজার ১শ’ ৪৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্লিপ বরাদ্দ হয়।

বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বিবেচনা করে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দ থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা আসে।

কাগজ-কলমে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরা মেশিন ক্রয় করা হয়েছে- মর্মে এরই মধ্যে ব্যয় দেখানো হয়েছে। যদিও এ মেশিন ক্রয় করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার উর্ধ্বে লাগার কথা নয়। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার ভাউচার স্কুল প্রধানদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে।

আরো জানা যায়, হাজিরা মেশিন ক্রয় সংক্রান্ত যেই ভাউচার তৈরি করা হয়েছে, তাতে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে বিশ হাজার, আবার কোনটিতে বাইশ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জেলার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজিরা মেশিন লাগানো হয়নি।

চাঁদপুর সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মিলে পছন্দমত স্থান থেকে মানসম্মত হাজিরা মেশিন ক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে। তা কোন বাধ্যগত কারণ নাই।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভা হয়। এ সভায় সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়।

জুন মাসের মধ্যে মেশিন কেনার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কিনতে ব্যর্থ সংষ্টিষ্ট দফতর। তবে ব্যর্থতা ঢাকতে হাজিরা মেশিন ক্রয়ের বিষয়টি অধিক টাকা খরচ দেখিয়ে কাগজে-কলমে সেরে রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

একই রকম খবর