আহম্মদ উল্যাহ : বিদ্যুতের গ্রাহক পরিষেবায় নতুন ধারার সূচনা করেছে প্রি-পেইড মিটার, তার কার্ড রিচার্জ করতে গ্রাহকরা আবারও চরম পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। কার্ড রিচার্জের জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাহকের সময় অনেক অপচয় হচ্ছে। তবে চাঁদপুর বিদ্যুত বিক্রয় বিতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড রিচার্জ করতে হচ্ছে।
তবে গত ক’মাস চাঁদপুর শহরের কিছু রিচার্জের দোকানে প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জ করা যেতো। এখন মোবাইল কোম্পানীর সার্ভারে সমস্যার কারণে এখন আর রিচার্জের দোকান থেকে আর প্রি-পেইড মিটার কার্ডে টাকা রিচার্জ করা যাচ্ছে না।
রোববার (২৭ মে) সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় বিতরণ কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছিলো গ্রাহকরা। এতে প্রায় ২ হাজারের বেশী গ্রাহক ছিলো বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিক্রয় বিতরণ কেন্দ্রের কর্ম কর্তাগণ।
তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুত অফিসের গাফিলতিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে। সাড়াদিন দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম ইকবাল রোববার রাতে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, রোববার সাড়াদিনে প্রায় ২ হাজার গ্রহক প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জ করার কারণে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে গ্রাহকদের। মোবাইল কম্পানীদের সার্ভারের সমস্যা থাকার কারনে দোকানে রিচার্জ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, যখন দোকানে রিচার্জ করা যায়। তখন আর গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। তখন অফিসে দিনে ৮০ থেকে ১শ’ গ্রাহক রিচার্জের জন্যে আসে। মোবাইলের দোকানে রিচার্জ করা বন্ধ হয়েগেলে গ্রাহকরা একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে অল্প ক’দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এ ছাড়া প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজও চলছে ধীরগতিতে। চাঁদপুর শহরের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসছে। এভাবে জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে মোট সাত লাখের মতো মিটার বসানো হয়েছে। অথচ আগামী জুনের (২০১৮) মধ্যে ৭০ লাখ গ্রাহকের বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন সম্পন্ন করার কথা। যা বর্তমান গতিতে সম্ভব।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা। সেই লক্ষ্যে ২০২০-২১ সালের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের পরিষেবায় যুক্ত করা হবে। তবে ‘লাইফ লাইন’ গ্রাহকদের (যাঁদের মাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহার ৫০ ইউনিটের মধ্যে) প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হচ্ছে না।
প্রি-পেইড মিটারে গ্রাহক রিচার্জ কার্ড ব্যবহার করে নিজের প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। বিতরণ কোম্পানিগুলোও বিদ্যুৎ সরবরাহের আগেই বিল পাবে, যা এখন পায় প্রায় দুই মাস পর। এ ব্যবস্থায় গ্রাহক যত টাকা রিচার্জ করবেন, তত টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহারের পর সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে বন্ধ হওয়ার আগে গ্রাহকের মিটার সংকেত দেবে, যা দেখে গ্রাহক রিচার্জ করতে পারবেন। অবশ্য কোনো গ্রাহকের রিচার্জ বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয়ে গেলে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ( ফ্রেন্ডলি আওয়ার) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হবে না।