স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে ইলিশের ভরা মৌসুমেও সাধারণ জনগণ ইলিশ কিনতে পারছে না। আকাশ চুম্বি দাম ক্রেতাদের হতাশ করেছে।
অথচ পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের ভর মৌসুমের শেষের দিকে। সাধ্য থাকলেও ইলিশ কেনার সাধ্য নেই সাধারণ আয়ের মানুষের। সাগরের বড় সাইজের এক ইলিশের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আর এ বছর সাগর থেকে আমদানি করা ইলিশ সাইজে অন্য বছরের তুলনায় অনেক বড়।
চাঁদপুরে ইলিশের পাইকারী ও খচুরা বাজারে এমন পরিস্থিতিই চলছে। আগামী মাসেই আবার শুরু হবে অভয়াশ্রম। এ বছরে সাধারণ মানুষ তাদের সাধ্য মতো ইলিশ কিনে খেতে পারেনি।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইলিশের পাইকারী বাজার বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে বড় বড় সাইজের ইলিশের স্তুপ। ছোট সাইজের ইলিশে সংখ্যা খুবই কম। ৬শ’ গ্রাম থেকে ৯শ’ গ্রাম সাইজের কিছু ইলিশ আসছে মিনি ট্রাকে করে। জানাগেল এসব ইলিশ নোয়াখালী হাতিয়া অঞ্চলের।
ঘাটের একাধিক খুচরা ইলিশ বিক্রেতা জানান, সাগরের ইলিশই বিক্রি করেন তিনি। ৬শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতিকেজি ৮শ’ টাকা। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩শ’ টাকা এবং দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা।
শহরের পুরান বাজার থেকে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা শামছুদ্দিন বলেন, পাইকারী বাজারে ইলিশের দাম কম হবে মনে করে এসেছি আড়তে। কিন্তু ছোট সাইজের ইলিশের কেজি ৮শ’ টাকা। সাধারণ আয়ের মানুষ হিসেবে ইলিশ কেনা সম্ভব নয়। কারণ নিত্যপণ্যের যে পরিমান দাম, ইলিশ কিনলে আর পকেটে টাকা থাকবে না। ইলিশ সাধের মাছ হলেও আমাদের কেনার সাধ্য নেই।
আড়তগুলো ঘুরে দেখাগেছে পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের ভীড়। অনেকেই দাম জেনে চলে যাচ্ছে। আর হাকডাক দিয়ে আড়তদাররা স্তুপ করা ইলিশ বিক্রি করছেন। আড়তগুলোতে আমদানি করা ইলিশগুলো সাগরের। ইলিশের গায়ের রং একটু লালচে।
চাঁদপুরের জেলে নেতা তছলিম বেপারী বলেন, সাগরের ইলিশেই আড়ৎ ও খচুরা বাজার চলছে। ইলিশের ভর মৌসুম চলে যাচ্ছে। কিন্তু পদ্মা-মেঘনায় রূপালী ইলিশের দেখা নেই। খুব কম সংখ্যক ইলিশ পাচ্ছে চাঁদপুরের জেলেরা। চাহিদার তুলনায় তা খুবই নগন্য।
তিনি আরো বলেন, ভাদ্র মাস শেষের দিকে। নদীর পানি খুবই গোলা। স্রোতও কম। ইলিশও নেই। আশি^ন মাসে আবার মা ইলিশ প্রজনন রক্ষায় দেয়া হবে নিষেধাজ্ঞা। জেলেদের রূপালী ইলিশ ধরা স্বপ্ন হিসেবে থেকে যাবে।