স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান দিনমজুর জাকির দেশে রাজ জুগালি কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। স্বপ্ন ছিল পরিবারের দারিদ্রতা কাটায়ে স্ত্রী সন্তানকে ভালো রাখার জন্য বিদেশ গিয়ে চাকরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হাওয়া।
কিন্তু সেই স্বপ্ন আর সফল হলো না দিনমজুর জাকিরের ।দালালের খপ্পরে পড়ে লিবিয়া পাড়ি জমিয়ে দুই মাস বন্দি খাঁচায় আটকে থাকার পর মূর্তিপন দিয়ে অবশেষে সেখান থেকে দেশে ফিরে আসে।
জাকিরের মত আরো অনেক বাংলাদেশী লিবিয়ায় মানব পাচারের হাতে পড়ে সেখানে বন্দি খাঁচায় থেকে মানবতার জীবন কাটাচ্ছে।
এক দালালের হাত থেকে অন্য দালালের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পর লিবিয়া থেকে চোরাই পথে সাগর পাড়ি দিয়ে স্বপ্নের রাজ্য ইতালি পাচার করছে মানব পাচারকারীরা। গভীর সাগরে ট্রলার ডুবে গিয়ে এই যাবত কালে অনেক বাংলাদেশী করুণ মৃত্যু হয়েছে খোজ মিলনে আজও তাদের।
প্রিয় দর্শক বলছিলাম চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ৯ নং ওয়ার্ড গুলিসা গ্রামের ছত্তর মিজির ছেলে ভয়ংকর মানব পাচারকারী শরিফ মিজির কথা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে এই মাফিয়া মানব পাচারকারী শরিফ অসংখ্য লোক বিদেশে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে।
শরিফের নির্যাতনের শিকার হয়ে মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় অনেক বাংলাদেশী প্রাণ দিতে হয়েছে। এই ভয়ংকর মানব পাচারকারী শরিফ লিবিয়ায় যুদ্ধকালীন সময়ে সেখানে গিয়ে অবস্থান করে দালালদের সাথে পরিচয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষ নিয়েছে এক দালালের হাত থেকে অন্য দালালের কাছে বিদেশ গামী অসহায় মানুষদের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যায়। লিবিয়া নেওয়ার পর সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে ইতালি নেওয়ার কথা বলে আবারও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই দালাল চক্ররা।
এই দালাল শরিফের খপ্পরে পড়ে বালিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কুমড়া গ্রামের অসহায় দিনমজুর জাকির তপাদার লিবিয়া পাড়ি দেয়। সেখানে ওয়েল্ডিং এর কাজ দেওয়ার কথা বলে জাকিরকে নিয়ে একটি ঘরে বন্দি করে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এই মানব পাচারকারী শরিফ মিজি। জাকিরকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মোবাইল পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়।
উপায়ান্ত না পেয়ে জাকির দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করে অবশেষে তার পরিবারের কাছ থেকে সেই মানব পাচারকারী শরিফ দালালের মাধ্যমে আরো এক লক্ষ দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অবশেষে জাকির সহ তিনজন প্রবাসী এই মানব প্রচারকারী শরিফের হাত থেকে রেহাই পেয়ে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরে আসে। প্রিয় দর্শক এই লোমহস্যকর ঘটনাটির বর্ণনা দিল লিবিয়া ফেরত অসহায় হতদরিদ্র জাকির তফাদার।
এই ঘটনায় মানব পাচারকারী শরিফ সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভুক্তভোগীরা।