স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ রেলওয়ের টাকায় উত্তেলিত পানি ঘুষের বিনিময়ে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে যাচ্ছে চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকায় রেলভূমিতে বসবাসরত শত-শত অবৈধ দখলদাররা।
বর্তমানে চাঁদপুর শহরে রেলওয়ে এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার ও কয়েকশ’ একর রেলভূমি দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। স্টাফ কোয়ার্টারগুলোতে অবৈধভাবে বসবাস করা দখলদারদের বিরুদ্ধে রেল কর্তৃপক্ষের করা একটি মামলা চাঁদপুর আদালতে বর্তমানে বিচরাধীন আছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে এসব কোয়ার্টারের অধিকাংশতেই রেলওয়ের সরবরাহ করা পানির সংযোগ রয়েছে। রেলওয়ের টাকায় উত্তেলিত ও সরবরাহকৃত পানি অবৈধ দখলদারগণ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে যাচ্ছে।
এতে করে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি চাঁদপুর রেলওয়েতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের কোয়ার্টারে এবং রেলওয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য পানির সংকট প্রায়ই দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা গ্রহণের মাধ্যমে রেলওয়ের পানি ব্যবহারের এই সুযোগ করে দিয়েছেন চাঁদপুর রেলওয়ের পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এআইডবিøউ আবুল কালাম আজাদ।
খোদ তার নাগের ডগায় আইডবিøউ অফিসের পশ্চিম পাশেও অবৈধ দখলদারদের ব্যবহারের জন্য তিনি রেলওয়ের পানির লাইন চালু রেখেছেন। অথচ রেলওয়ের কোন স্টাফ দীর্ঘবছর থেকে এখানে বসবাস করছেন না। রেলওয়ের আইন অনুযায়ী রেলওয়ের কোন স্টাফ কোথায়ও বাসা বরাদ্দ নিয়ে বসবাস না করলে সেখানে পানির সংযোগ রাখা যায় না।
এআইডবিøউ আবুল কালাম আজাদ চাঁদপুরে বদলী হয়ে আসার পর থেকে বড়স্টেশনে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির অফিসার্স রেস্টহাউজে অবৈধভাবে নিজের বসতবাড়ির মত নিয়মিত বসবাস করে আসছেন। যা রেলওয়ের আইনে সম্পূর্ণ বেআইনী। তিনি আক্কাস আলী রেলওয়ের উত্তর পাশে অবস্থিত তার নিজস্ব কার্যালয় আইডবিøউ অফিসে বসে কখনও অফিস না করারও অভিযোগ রয়েছে। কেউ তাকে খোঁজ করলে তিনি অফিসার্স রেস্টহাউজে ডেকে নেন। প্রতিদিন লাইনে যেতে হয় এ ধরনের অজুহাত দেখিয়ে তিনি তার অফিসে না বসায় আইডবিøউ অফিসটি বর্তমানে নেশাখোরদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি চাঁদপুরে বদলী হয়ে আসার পূর্ব থেকেই এখানে রেলওয়ের পানির অনেক অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এখন আমি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এসব অবৈধ পানির সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করব। অফিসার্স রেস্টহাউজে কেন প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বসবাস করছেন এবং নিজের আইডবিøউ অফিসে বসে অফিস করেন না কেন এমন প্রশ্নের উত্তর এআইডবিøউ আবুল কালাম আজাদ কৌশলে এড়িয়ে যান।