আহম্মদ উল্যাহ : চাঁদপুর প্রেসক্লাবে ২৩ নভেম্বর কতিপয় দুস্কৃতিকারী, সমাজ বিরোধী, সরকারি অর্থ তসরুফকারী, সন্ত্রাসি, খুনের দায়ে অভিযুক্ত স্বার্থ লোভী ব্যক্তিবর্গের সাংবাদিক সম্মেলনের প্রেক্ষিতে এবং প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ্য করেন, গত ২৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে আমাকে ও আমার ভাই এম এ কুদ্দুসকে জড়িয়ে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা পুরোপুরি ভুয়া ও অসত্য। তাদের সকল তথ্যই ছিল মনগড়া, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্য। আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও তথ্যহীন। আমি এমন কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আর বিশেষ যে বিষয়টি তারা দাবি করছে, যে আমি অবৈধ হয়ে জোর করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্ব ধরে রাখছি, তা মিথ্যা। জেলা মুক্তিযোদ্বা সংসদে গায়ের জোরে থাকার সুযোগ নেই । আমি জামিকার ২৮ এর “ক” ধারার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৈধ ভাবে দায়িত্ব পালন করছি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী সংসদ না আসা পর্যন্ত আমি মুক্তিযোদ্বা সংসদের দায়িত্ব পালন করবো । নতুন সংসদের নির্বাচিত হাতে দায়িত্ব অর্পন করবো । এ ছাড়া তৎকালীন জেলা প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহন করে পরবর্তীতে আমাকে অথারাইজ করে গেছেন । আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে যে অভিযোগ করায় আমার সম্মনহানি ঘটেছে। আজকের সংবাদ সম্মেলন আমার আইনি পক্রিয়ার প্রথম ধাপ। আমি এর পরবর্তি ধাপে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবো।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, আমি এম এফ বাহিনীর কমান্ডার ছিলাম না,অভিযোগ কারিদের দাবি অসত্য। আমি মেঘনা অঞ্চল কে ফোর্সের আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলাম না, অভিযোগ কারিদের দাবি অসত্য। আমি কোথাও কখনো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করিনি ,অভিযোগ কারিদের দাবী অসত্য। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ, পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, সুতরা তাদের দাবী অসত্য। সংসদের মাসে মাসে ভাড়ার ২লাখ টাকা টাকা আতœসাতের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও অসত্য । প্রতি মাসে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ভাড়া আদায় হয় ,তাও আবার সংসদের একাউন্টে জমা হয় । বিধি মোতাবেক খরচ হয় ।
এখানে আতœসাতের সুযোগই নেই । মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে বরাদ্দকৃত কোন জমি আমার নামে আত্মসাৎ করা হয়নি অভিযোগকারিদের দাবি অসত্য। আমি কখনো চাঁদপুরের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য ছিলাম না, সুতরাং টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অসত্য। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দোকান বরারদ্দ সময়কালে আমি দায়িত্বে ছিলাম না। ২০১০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে আমি সংসদের দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি ও আমার ভাই কুদ্দুস কখনো জাতীয় পার্টি বা ফ্রিডম পার্টির সদস্য ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সংগ্রাম করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ধরে রেখেছি। স্বাধীনতার পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, শরিফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, মির্জা জাকির, প্রথম আলোর চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আউয়াল রুবেল, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক এইচএম আহসান উল্যাহ, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মুনাওয়ার কানন, দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন শান্ত।
উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ইয়াকুব আলী মাস্টার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিলন, জি এম শাহীন, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, দৈনিক ইলশেপাড়’র প্রধান সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি মোরশেদ আলম রোকন, চাঁদপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, দৈনিক মতলবের আলোর প্রধান সম্পাদক কে এম মাসুদ প্রমূখ।