চাঁদপুরে সরগরম মার্কেট ও বিপণী বিতান

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাহে রমজানের রহমতের দশ দিন বিদায় নিচ্ছে। এগিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠছে চাঁদপুর শহর ও উপজেলা সদরের মার্কেট, বিপণী বিতান। গ্রামের হাট-বাজারও সরগরম হয়ে উঠছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিভাবকরা ছুটছেন শাড়ি-থান কাপড়, থ্রি-পিচ, টেইলার্স, কসমেটিকস ও জুতার দোকানে। তাদের অধিকাংশই নারী। বাড়ছে পোশাক তৈরির মাস্টার ও কারিগরদের ঈদ কেন্দ্রিক ব্যস্ততা। দিনের বেলা শহরে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

দেখা যায়, সকাল দশটার পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, শপথ চত্বর, মিজান চৌধুরী সড়ক, জেএম সেনগুপ্ত রোড, টাউন হল, কুমিল্লা রোড, পালবাজার ব্রীজ চত্বর, নতুনবাজার, বিপণীবাগ, বাসস্ট্যান্ড সড়ক, পুরাণবাজারের যোগী পট্টি, খলিফা পট্টি, মসজিদ পট্টি ও ট্রাঙ্ক পট্টিতে মানুষের ভিড় কেবল বাড়ছে। অনেকেই সেরে নিচ্ছেন আগেভাগে নিজেদের পছন্দসই কেনাকাটা।
রেলওয়ে হকার্স, হাকিম প্লাজা, মীর শপিং কমপ্লেক্স এবং কুমিল্লা রোডের জুতার দোকানগুলোতে ঈদের আগাম কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। বাটা, এ্যাপেক্স ও লোটোর জুতার শো-রুমসহ অন্যান্য সকল জুতার দোকানে ক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম।

কুমিল্লা রোডের নূর ম্যানশনের নিচ তলায় শাড়ি ও রকমারি বাহারী থান কাপড়ের কয়েকটি দোকান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য দোকানগুলো হচ্ছে, বিজয়িনী ফ্যাশন, অনি বস্ত্রালয়, আল-ইসলাম বস্ত্রালয়, মা বস্ত্রবিতান ও বৃষ্টি ম্যাচিং সেন্টার। বিজয়িনী ফ্যাশনের পরিচালক সমীর পোদ্দার জানান, এবার ঈদের জন্যে নারীদের গুজরাটি, পিউর, অর্গেন্ডি, নেইট, সুতি কাজ করা অল ওভার, পিউর প্রিন্ট, কামিজ ও লাসার কাপড় বেশি পছন্দ। ক্রেতারা ম্যাচিং করে থান কাপড় মিটার হিসেবে কিনে টেইলার্সের দোকানে যাচ্ছেন। এ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে একাধিক দর্জি ও লেইস ফিতার দোকান।

রাজনন্দিনী টেইলার্সের মাস্টার হাশেম ও আকাশ জানান, নারী ক্রেতারা তাদের পছন্দের গজ কাপড় নিয়ে আসলে আমরা অর্ডার নেই। বিশ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নেয়া হবে। জর্জেট, সুতি, এক কালার ও প্রিন্টের কাপড়ের কামিজ, ফ্লোর টাচ্ ও থ্রি-পিচের অর্ডার পাচ্ছেন বেশি। এখানে আছে প্রিয়জন, সূর্যকন্যা, চাঁদনী, আঁখি মনি, আপনজন, আঁচল, সাগরিকা টেইলার্স, রাজধানী, জননী লেডিস টেইলার্স, স্মরণ লেইস কর্নার ও ভাই ভাই সুতা ঘর। তাদের কাজের অর্ডার ও লেইস ফিতার বিক্রি ভালো যাচ্ছে বলে দোকানীরা জানিয়েছেন। অপূর্ব এমব্রয়ডারী হাউজের হস্তশিল্পী মিঠুন জানান, রোজা যত শেষের দিকে যাবে, কাজের পরিমাণ তত বাড়বে। স্মরণ লেইস কর্নারের পরিচালক বাদল দে জানান, শাড়ি, কামিজ ও পাঞ্জাবির সাথে ম্যাচিং করে ক্রেতারা পুতি, বোতাম ও বিভিন্ন ডিজাইনের লেইস এবং বোরকার সামগ্রী সংগ্রহ করে নিচ্ছে।

পৌর নিউ মার্কেটের বিসমিল্লাহ পাঞ্জাবী টেইলার্সের মাস্টার হোসেন জানান, চাকুরীজীবীরা বেতন পাওয়ার পর ভিড় আরো বাড়বে। এখনো কাজের চাপ শুরু হয়নি। কিংস টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স-এর মাস্টার কাইয়ূম জানান, শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবীর অর্ডার মোটামুটি পাচ্ছেন। দশ রমজানের পর দর্জি দোকানের কাজ বাড়বে। শহরের জোড় পুকুর পাড়স্থ ড্রেসকো টেইলার্সে রোজা শুরুর আগ থেকেই পোশাক সচেতন নারী ও পুরুষ তাদের রুচিসম্মত পোশাক বানাতে ভিড় করছেন। এবারও পোশাক তৈরির অর্ডার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ড্রেসকো এগিয়ে থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

একই রকম খবর

Leave a Comment