স্টাফ রিপোর্টার ঃ বসত ঘর করতে গিয়ে ২০০ বছরের পুরনো প্রায় শতাধিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার পালপাড়া কুন্ডু বাড়িতে মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন পাওয়া গেছে বলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, পালপাড়ার বাসন্দিা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুভাষ পোদ্দার তার শতাধিক বছরের পুরনো বাড়ির টিনের ঘর ভেঙ্গে নতুন করে করার সময় মাটি কাটতে গিয়ে গুপ্তধনের সন্ধান পায়।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে সেখানে কাজ করতে আসা মিস্ত্রি সুভাষ, সুব্রত, আলামিন ও কবির ঘরের পালা ঘাড়তে গিয়ে মাটি কাটে। এসময় মাটির নিচ থেকে একটি গুপ্তধনের পাতিলে উদ্ধার করে। সেই পাতিল এর ভীতর প্রায় ২০০ বছরের পুরনো দুই শতাধিক প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার করে। মুদ্রাগুলো রুপা ও স্বর্ণের ছিল বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
মাটির নিচ থেকে তোলা পাতিলে শত পুরনো মহামূল্যবান মুদ্রাগুলো বাড়ির মালিক সুভাষ পোদ্দার নিজে লুকিয়ে ফেলে। অকেজো কিছু মুদ্রা সেখানে কাজ করতে আসা মিস্ত্রিদের দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনাটি জানাজানি হলে গুপ্তধন উদ্ধার নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় সেখানে কাজ করতে আসা মিস্ত্রি শুভঙ্কর ও শুভাশ জানায়, ঘরের ভিতরে পালা গাড়তে গিয়ে মাটি উঠালে একটি পাতিলের ভিতর প্রায় দেড়শ পুরনো মূল্যবান মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
সেই মুদ্রাগুলো বাড়ির মালিক সুভাষ পোদ্মার নিয়ে যায়। সেখান থেকে কিছু মুদ্রা আমাদেরকে দিয়ে বাকি মুদ্রা গুলো তিনি নিজে রেখেছে।
বাড়ির মালিক সুভাষ পদ্মার জানায়, মাটি খুঁড়ে প্রাচীন কিছু মুদ্রা পাওয়া গেছে। সে মুদ্রাগুলো সবাইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে প্রমাণ স্বরূপ একটি মুদ্রা রেখেছি। তবে মুদ্রাগুলো প্রায় শত বছরের পুরনো।
এদিকে সুভাষ পোদ্দারের বাড়ি থেকে শত বছরের মহা মূল্যবান মুদ্রা উদ্ধার হওয়ার ঘটনাটি পুলিশকে না জানিয়ে তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছে বলে এলাকার স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান করে মহামূল্যবান এ মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে রক্ষিত রাখার আহŸান জানিেেয়ছন সচেতন মহল।