চাঁদপুর আনন্দ বাজার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে ডা. দীপু মনি এমপি

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুর বাসীর প্রধান সমস্যা ছিল নদী ভাঙন সেই সমস্যা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই সমাধান করেছে। প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৬ কিলুমিটার নদীর পাড় বাঁধাই করে ভাঙন প্রতিরোধ করে চাঁদপুর বাসীর মনে সস্তি এনে দিয়েছে। আনন্দ বাজার এলাকার নদীর ভাঙনও প্রতিরোধ করা হবে। আনন্দ বাজার এলাকায় ভাঙনের খবর শুনে আমি সাথে সাথে প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার জন্য বলি। প্রশাসন এই আনন্দ বাজার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। প্রাথমীক ভাবে নদীর ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।

শনিবার (২২জুন) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনার ভাঙন পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।  নদী ভাঙনে যে কয়টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় বালী ভর্তী জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধ কাজের উদ্ধোধন করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এক সময় মানুষ অনেক কষ্ট করে আনন্দ বাজারে আসতে হতো এখন আর সেই কষ্ট করতে হয়না। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহীকতায় এখানে এখন রাস্তা-ঘাট পাকা হয়েছে, স্কুল, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। এখানকার মানুষের জিবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। আগামী দিনে এই এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধসহ আরো ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে বলে আশ^স্ত করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমাম হোসেন রাসেল গাজী, সাধারন সম্পাদক আরশর্^াদ মেম্বার, সদর উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদা বেগমসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্যেখ্য: গত কয়েকদিন ধরে সদর উপজেলার আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠেউয়ের আঘাতে নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। এ সময় নদী পাড়ের কয়েকটি বসতঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদী ভাঙন আতংকে রয়েছে সেখানকার সহ¯্রাধিক জেলে পরিবার। বসতঘর টিকিয়ে রাখতে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মান করেছে নদী পাড়ে।

একই রকম খবর

Leave a Comment