মাসুদ হোসেন : চাঁদপুর সদর উপজেলায় পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ৬টা ও সাড়ে ৯টার ৩ জন নিহত হয়েছে। দু’টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে মোট ৪ জন।
এর মধ্যে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের আশিকাটি ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন ও মান্দারী চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে ইট বোঝাই পিকআপের চাপায় এক পথযাত্রী নিহত হন।
নিহত তিন জন হলেন ইমরান হোসেন (৩৪) হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বলাখাল গ্রামের সর্দার বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি গাজীপুর সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। একই এলাকার ভাগ্নি ফাতেমা আক্তার আনিকা (১০)
মো. আলমগীর হোসেন রাজুর মেয়ে। একই উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর পঞ্চায়েত বাড়ির প্রবাসী শাহালম মিজির স্ত্রী ঝরণা বেগম (৩৫)। তিনি ৩ ছেলে সন্তানের জননী।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো:মাজেদুর রহমান খান ।পরিদর্শণকালে তিনি নিহত ও আহত পরিবারের সদস্য সান্তনা দেন এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করেন ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার সময় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী যাত্রীবাহী পদ্মা বাসের সাথে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়া সিএনজির মুখোমুখী সংঘর্ষে মামা ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলেই
নিহত হয়েছেন। ভাগ্নি ফাতেমা আক্তারকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।
আহত অন্যান্যরা হলেন- ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ল²ীপুর গ্রামের ডাঃ ভাষান চন্দ্র শীলের ছেলে রতন চন্দ্র শীল (৩০) ও মো. জুয়েল হোসেন (৩৫)। আহতদের মধ্যে রতনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চাঁদপুর সরকারি
জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
অন্যদিকে একইদিন সকাল সাড়ে ৯টার সময় একই উপজেলার মান্দারী চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে পূর্বমূখী ইট বোঝাই পিকআপের নিচে পিষ্ট হয়ে পথযাত্রী রাস্তা পারাপারের সময় ঝরণা বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তার সাথে থাকা
অন্যান্যরা পিকআপের ধাক্কায় পার্শ্ববর্তী খালের পাড়ে ছিটকে পড়ে।
আহত মমতাজ বেগম মান্দারী জলিল বেপারী বাড়ীর বাসিন্দা। মমতাজ বেগম (৫০) এর অবস্থা গুরুত্বর দেখে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা চলছে ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা লোহাগড় মুন্সি বাড়ির ফয়েজ মুন্সির মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৭) কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পিতা তাজুল ইসলাম থানায় এসে আবেদন করার পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মিরাজ ও ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিনজন রাস্তা পারাপারের সময় পশ্চিম দিক থেকে ইট বোঝাই পিকআপের নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ঝরণা বেগম নিহত হয়েছেন।
তিনি অপর ২ জনসহ কবিরাজ দেখাতে এসেছেন এখানে। তার পরিবারের আবেদনের পেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।