স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খান এর বাসভবন থেকে রোরবার (৭ জুলাই) ভোর ৪ টায় চুরি হওয়া মোবাইল ৬ ঘন্টার মাথায় উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম এর নির্দেশে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃতত্বে প্রথমে বাসভবনে থাকা সিসি ক্যামেরায় চুরির ঘটনার ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে, ভিডিও ফুটেজ দেখে চোরকে সনাক্ত করা হয়। চুরির পর চোর যে পথে ওয়াল টপকে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়, তা অনুমান করে, শহরের কুলিবাগান জেডেসি কলোনীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় স্থানীয়রা চোরের ছবি দেখে তাকে সনাক্ত করে। সে কুলিবাগান এলাকার বিল্লাল শেখের ছেলে জীবন শেখ (২৫)। এ সময় ঘরে তল্লাশি চালিয়ে চুরি হওয়া মোবাইল সেট, চুরির সময় চোরের পরনে থাকা পেন্ট, টি-সাট ও একটি টর্স লাইট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, জীবন শেখ চুরি করার পরপর তার ঘরে গিয়ে মোবাইল সেট ও পরনের পোষাক রেখে অন্য পোষাক পরে গা ঢাকা দিয়েছে। এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোবার (৭ জুলাই) ভোর রাতে চাঁদপুর শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কস্থ চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এর বাসভবনে গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র জজ এর বেড রুমের জানালা দিয়ে মশারি কেটে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় পাশের বাসা থেকে চুরি হয় একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, জেলা জজ এর বাসভবনের চারপাশের দেয়ালে কয়েক স্থানে ভাঙা। খুব সহজেই চোর চক্র চুরি করার সুযোগ রয়েছে। জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যাক্তির বাসায় যদি হয় এমন নিরাপত্তাহীনতা, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্তা দাঁড়ায় কোথায়।
জেলা জজ আদালতের কর্মচারীরা জানান, জেলা জজ এর বাসায় দায়িত্ব পালন করেন ৪জন পুলিশ সদস্যা। কিন্তু তারা রুটিন অনুযায়ী একই স্থানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যদি তারা ভবনের চার পাশে নজর দেন এবং হাটাহাটি করেন তাহলে চোর চক্র এই ধরনের সাহস পায় না।
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন বলেন, চোর চক্র যে ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চাইতে বড় ধরনের দ‚র্ঘটনাও ঘটতে পারত। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কারণ জানালার ফাঁকে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটানো সম্ভব। শুধুমাত্র আমার স্ত্রীর মোবাইল চুরি হয়েছে। যদি আমার মোবাইল কিংবা অন্য জরুরি জিনিসপত্র চুরি হত, তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তাম।
জেলা জজ আরো জানান, আমার বাসভবনের চারদিকে যে দেয়াল রয়েছে, তা খুবই নীচু। আমি বাসভবনসহ দেয়ালের সংস্কার কাজ করার জন্য প্ল্যান পাস করিয়ে চাঁদপুর গণপ‚র্ত বিভাগকে একাধিকবার জানিয়েছি, কথা বলেছি। তারা এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সিসিটিভি ক্যামেরার চাহিদা দেয়া হয়েছে, সেটাও করেননি গনপ‚র্ত বিভাগ।