এম এম কামাল : চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজের বাসভবনে চুরির ঘটনা সাথে জড়িত ২ জন চোরকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে চুরির ঘটনা উম্মোচন করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে ।
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টায় শহরের বকুলতলার পরিত্যাক্ত রেল কোয়াটার থেকে জীবন শেখ (২২), নিশি কোয়াটার এলাকার বেপারী বাড়ি থেকে দুলাল বেপারীর ছেলে সুজন বেপারী (২৪) কে আটক করে পুলিশ। আটক চোরদ্বয়ের কাছ থেকে জজ সাহেবের বাসার মোবাইল সেট ও গুয়াখোলা এলাকার মালেকা মজ্ঞিলের একে এম মহিউদ্দিনের বাসা থেকে চুরি হওয়া ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার আইও পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুর রব জানান, চুরি হওয়ার পর থেকেই চোরকে ধরতে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়। গতকাল রাতভর অভিযান চালিয়ে চুরি সাথে জড়িত দুই চোরকে আটক করতে সক্ষম হই।
মামলার বাদী জজের নাজির মতিন মোল্লা বাদী হয়ে ৭ জুলাই মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৩।
প্রসঙ্গত, রোবার (৭ জুলাই) ভোর রাতে চাঁদপুর শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কস্থ চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এর বাসভবনে গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র জজ এর বেড রুমের জানালা দিয়ে মশারি কেটে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় পাশের বাসা থেকে চুরি হয় একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, জেলা জজ এর বাসভবনের চারপাশের দেয়ালে কয়েক স্থানে ভাঙা। খুব সহজেই চোর চক্র চুরি করার সুযোগ রয়েছে। জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যাক্তির বাসায় যদি হয় এমন নিরাপত্তাহীনতা, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্তা দাঁড়ায় কোথায়।
জেলা জজ আদালতের কর্মচারীরা জানান, জেলা জজ এর বাসায় দায়িত্ব পালন করেন ৪জন পুলিশ সদস্যা। কিন্তু তারা রুটিন অনুযায়ী একই স্থানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যদি তারা ভবনের চার পাশে নজর দেন এবং হাটাহাটি করেন তাহলে চোর চক্র এই ধরনের সাহস পায় না।
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন বলেন, চোর চক্র যে ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চাইতে বড় ধরনের দ‚র্ঘটনাও ঘটতে পারত। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কারণ জানালার ফাঁকে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটানো সম্ভব। শুধুমাত্র আমার স্ত্রীর মোবাইল চুরি হয়েছে। যদি আমার মোবাইল কিংবা অন্য জরুরি জিনিসপত্র চুরি হত, তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তাম।
জেলা জজ আরো জানান, আমার বাসভবনের চারদিকে যে দেয়াল রয়েছে, তা খুবই নীচু। আমি বাসভবনসহ দেয়ালের সংস্কার কাজ করার জন্য প্ল্যান পাস করিয়ে চাঁদপুর গণপ‚র্ত বিভাগকে একাধিকবার জানিয়েছি, কথা বলেছি। তারা এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সিসিটিভি ক্যামেরার চাহিদা দেয়া হয়েছে, সেটাও করেননি গনপ‚র্ত বিভাগ।