মো: শওকত করিম : বাংলাদেশের পরবর্তী অর্থনীতি হবে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি। এমন একটি সময় আসবে যখন প্রযুক্তি ছাড়া আমরা কেউ চলতে পারবোনা। এমনটাই বলেছেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ।
তিনি বলেন, এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা মফস্বলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম যেন প্রচুর পরিমাণে শিক্ষার্থী এই মেলায় নিয়ে আসে। কারণ মফস্বলের স্কুলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান এবং অংক ভীতি রয়েছে। তাই তারা বিজ্ঞান ও অংক শিখতে চায় না। অথচ আমাদের বিজ্ঞান এবং অংকের কোন বিকল্প নেই। একটা সময় আমাদের দেশে যে ছাত্রটি কম মেধাবী বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতো তাকে ভোকেশনাল অথবা টেকনিক্যালে ভর্তি করে দেওয়া হতো। এখন আমরা আহবান জানাচ্ছি ক্লাসের যে সবচেয়ে মেধাবী তাকে যেন টেকনিক্যাল অথবা ভোকেশনালে ভর্তি করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে একটা প্রথা চালু আছে, যে ছাত্রটি সবচেয়ে ভালো জ্ঞানী সে বুয়েটে অথবা মেডিকেলে চান্স পায়। এই প্রথা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা যারা সরকারি কর্মকর্তা আছি তারা ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে জ্ঞানী ছাত্ররা ভোকেশনাল এবং টেকনিক্যালে পড়াশোনা করে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। আর আমরা বাংলাদেশে ইন্টারনেট এনেছি ১৯৯৬ সালে। এই ইন্টারনেটে আনতে আমাদের ৩০ বছর সময় লেগেছে। তাই মূল বিপ্লব থেকে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে।
আমি এখান থেকে বাসায় যাব, আমি কি খাব, আমি কোন গান শুনবো, আমার শরীরের টেম্পারেন্স ঠিক আছে কিনা এই সব কিছু একটা ডিভাইসের মধ্যে থাকবে। যেটা উন্নত বিশ্বে চলে আসছে। চালক বিহীন গাড়ি চলে আসছে। এইসব পরিচালনা করার জন্য আমাদের দক্ষ জনবল তৈরী করতে হবে। আমরা ঘুমিয়ে থাকবোনা আমরা জেগে থাকবো। আমাদের সন্তানদেরকে আমরা সেভাবেই তৈরী করবো।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব বশির আহমেদ।
দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাংবাদিক এম.আর. ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটোওয়ারী, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) এর অধ্যক্ষ ডক্টর প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাকাওয়াৎ আলী। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।