বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর থেকে ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নৌরুটে লঞ্চ যাত্রীরা দিনে ও রাতে নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচেছ।
এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোতে বিগত ৩ বছর যাবত লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য লঞ্চে কোন প্রকার অস্ত্রধারী আনসার নিয়োগ দিচেছনা।
এতে করে এ সব নৌ-রুটের যাত্রীদের নিরাপত্তায় কোন আনসার না থাকায় যাত্রীরা মারাত্বক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে জীবনবাজি রেখে বিগত ৩টি বছর যাতায়াত করে যাচেছ।
লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ নতুন করে সরকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনবৃদ্বির ফলে তাদের লঞ্চে কর্মরত আনসারদের বেতন বেশী দিতে হচেছ, বলে তারা লঞ্চ থেকে আনসার প্রত্যাহার করেছে বলে মূলকারন বলে চাঁদপুর আনসার বিডিপি কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে।
নৌ-পথের যাত্রীদের নিরাপত্তায় চাঁদপুর,ঢাকা,নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাত্রীদের নিরাপত্তায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোতে অস্ত্রধারী আনসার নিয়োগ দেওয়ার জন্য শত-শত যাত্রীদের এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে।
চাঁদপুর-ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানের লঞ্চ যাত্রীদের নৌ-পথে যাতায়াত কালে লঞ্চে ছিনতাই,নেশাজাতীয় দ্রব্য কৌশলে পান করিয়ে,মলমপাটি, প্রতারনা,মাদক পাচার ও বিভিন্ন সময় দিনে ও রাতে নৌ-পথে ও লঞ্চে ডাকাতি সংঘটিত হয়ে আসছে।
এ সব থেকে রক্ষা ও লঞ্চ যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিগত বছর নৌ-যান ও যাত্রীবাহি লঞ্চে অস্ত্রধারী আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছিল। এতে করে যাত্রীরা নিরাপদে নৌ-পথে যাতায়াত করতো।
বিগত ৩ বছর যাবত চাঁদপুর-ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ও দক্ষীনঞ্চলীয় নৌ-পথে ও দেশের বিভিন্ন স্থানের নৌ-পথে কোন প্রকার আনসার রাখা হচেছনা। এতে করে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে যেতে হচেছ। যাত্রীরা দিনের চাইতে রাতে তাদের পরিবার পরিজন, শিশু ও যুবতী মেয়েদের নিয়ে যাতায়াত করতে আতংকে থাকতে হয়।
এ ছাড়া যাত্রীরা তাদের মূল্যবান মালামাল ও স্বর্ন-অলংকার নিয়ে যাতায়াত কালে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। নৌ-পথে লঞ্চে যাতায়াতকারী যাত্রীরা তাদের নিরাপত্তাহীনতা থেকে বাঁচতে লঞ্চে আনসার নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টির জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। নৌ-রুটে আনসার নিয়োগ দিলে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন লাগব হবে,তেমনি শত-শত বেকার যুবক- আনসারদের কর্মস্থানের সুযোগ সৃস্টি হবে। এ সব আনসাররা লঞ্চ মালিকদের বেতনের পাশাপাশি সরকার থেকে পোশাক,রেশন ও চিকিৎসা সুবিধা পাবে।
অপরদিকে এ সব আনসার সদস্যরা কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু বরন করলে তার পরিবার সরকার থেকে এক কালিন ৫লাখ টাকা পাবে। আনসার ভিডিপি অফিস সূত্রে জানা যায়,বর্তমান সরকার বেতন ভাতা বৃদ্বির ফলে লঞ্চ মালিকরা একত্রিত হয়ে নৌ-পথে চলাচলকারী যাত্রীবাহি লঞ্চ থেকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়। আর এ সুযোগে নৌ-পথে বিভিন্ন প্রকার অপরাধ-প্রবনতা বৃদ্বি পেয়েছে। বিশেষ করে নৌÑপথে মাদক পাচার বেশী হচেছ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ও ঢাকা নৌ-বন্দরে কর্মরত লঞ্চ মালিক প্রতিনিধিরা জানান,স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে নৌ-পথে যাত্রীবাহী লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকবিবেচনা করে যাত্রীবাহী লঞ্চে অস্ত্রধারী আনসার দায়িত্ব পালন করতো। এ সময় অনেক আনসাররা ডাকাতি কালে পতিরোধ করে ডাকাতি বন্ধ ও ডাকাতদের আটক করতে সক্ষম হয়েছিল।
এ ছাড়া কিছু আনসার সদস্য ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার ঘটনাও ঘটে। বর্তমানে সরকার বেতন বৃদ্বির ফলে আনসার সদস্যদের বেতন পূর্বে ছিল ৮হাজান ৭শত টাকা। বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০ টাকা বেতন হওয়ায় লঞ্চ মালিকরা তাদের লঞ্চে আনসারদের দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে আনসার প্রত্যাহার করে নেয়। লঞ্চ মালিক প্রতিনিধিরা জানান,বর্তমানে আনসার না থাকায় যাত্রীরা পূর্বেূর চাইতে ভাল নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে। প্রতিটি লঞ্চের মালিকরা নিজস্ব সিকিউরিটি নিয়োগ দিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচেছ।
এ বিষয়ে অনেক যাত্রীর সাথে আলাপ কালে তারা জানান,লঞ্চে অস্ত্রধারী আনসার থাকা প্রয়োজন রয়েছে। নিজস্ব লাঠি ব্যবহার করা সিকিউরিটি দিয়ে কোন কাজ হচেছনা। এ দেশের মানুষ যেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ভয় পায়না। সেখানে সামান্য লাঠিয়াল বাহিনীর, সিকিউরিটি দিয়ে ভয়াবহ মাদক পাচার প্রতিরোধ,দুর্ধর্ষ ডাকাতদের ও দুবৃর্ত্তদের প্রতিরোধ করা কতটা সম্বব তা এখন ভেবে চিন্তে দেখার প্রয়োজন বলে সচেতন মহলের দাবী।
ইদানিং কালে লঞ্চে যাত্রীদের মালামাল চুরি,ছিনতাই,মলমপাটির উপদ্রব ও লঞ্চে এক শ্রেনীর যুবতী যাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত,কেবিনে হত্যা ও ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটে চলছে। যার ফলে নৌ-রুটের যাত্রীদের নিরাপত্তায় আনসার বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলে ও সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করলে যাত্রীরা যেমন নিরাপত্তা পাবে। তার পাশাপাশি লঞ্চে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবেনা ও মাদক পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা আনসার ও বিডিপি অফিসার (পরিদর্শক)মো: মজিবুর রহমান জানান,লঞ্চ মালিকরা তাদের লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তায় যদি আনসার চায়,তা’হলে জেলা এডজুটেন্ট অফিস থেকে আনসার দেওয়া যেতে পারে।
তারা সরকারের সাথে কন্টাক করে অগ্রিম টাকা দিলে আনসার পাবে। গত ৩ বছর যাবত লঞ্চ মালিকরা সরকারী বেতন বৃদ্বি পাবার পর থেকে আনসার প্রত্যাহার করে নেয়। তবে নৌ-পথের উপর যেভাবে মানুষের আস্তা বেড়েছে। সেহেতু লঞ্চে আনসার ডিউটি থাকা একান্ত প্রয়োজন বলে সর্ব মহলে এখন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।