স্টাফ রিপোর্টার : নৌযান শ্রমিকদের একদিনের কর্মবিরতি শেষে সারা দেশের ন্যায় বুধবার সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও বরিশালের বিভিন্ন স্থানের মধ্যে চলাচলকরী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকাগামী সিডিউল অনুযায়ী লঞ্চগুলো পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ত্যাগ করে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে নৌ-যান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবী নিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ,বরিশাল ও দক্ষীন অঞ্চলগামী সকল ধরনের লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে করে লক্ষীপুর,রায়পুর,নোয়াখালী,শরীয়তপুর,ফরিদপুর, লাকসাম,চিতশীরোড, ও জেলার ফরিদগঞ্জ, রুপসা, শাহরাস্তি, হাজিগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার হাজার-হাজার মানুষ এ নৌ-পথ দিয়ে যাতায়ত করতে না পেরে চরম দুভোর্গ পৌহাতে হয়েছে।
বিগত দিনে দেখা গেছে, চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলার সোয়া কোটি মানুষ ছাড়া ও পার্শবতী ৬/৭টি জেলার হাজার-হাজার মানুষ যানজট থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদে ও আরামদায়ক ভ্রমন হিসেবে এ চাঁদপুর নৌ-পথ দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত যাতায়ত করে যাচেছ,বলে এক পরিসংখ্যানে সরকারী ভাবে জানা গেছে। আর সে নৌ-পথ হঠাৎ করে নৌ-যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সব বিভিন্ন স্থানের লঞ্চ যাত্রীদের পড়তে হয় মারাত্বক দুর্ভোগে ও চরম হতাসার মধ্যে।
বুধবার লঞ্চ চলাচল শুরু হলে যাত্রীরা জানান, নৌযান শ্রমিকদের একদিনের কর্মবিরতিতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হয়েছে। লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় আমাদের মধ্যে যে কি স্বস্তি ফিরে এসেছে,তা’ ভাষায় প্রকাশ করা যাচেছনা। আমরা চাই দ্রæত এই বিষয়ে সরকারী ভাবে একটি স্থায়ী সুরহা বা সমাধান হোক।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, নৌ-যান শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় শ্রমমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ে শ্রমিকদের সাথে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে বুধবার সকাল থেকে চাঁদপুর হতে সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে চাঁদপুর একটি গুরুত্ব পূর্ন নৌ-রুট। এ পথে প্রতিদিন চাঁদপুর ছাড়া ও বিভিন্ন জেলার হাজার-হাজার মানুষ যাতায়ত করে থাকে। এ রুটটি বন্ধ থাকলে নৌ-যাত্রীদের চরম দুভোর্গ পৌহাতে হয়।